গঙ্গা-জলে গঙ্গা পূজা, কার যেন পাই সাড়া
শ্রাবণ এলে হৃদয় যেন মন কেমনের পাড়া।
মন কেমনের শ্রাবণ মাসে, শান্তিনিকেতনে
বনের পাখি রোদের খোঁজে ছাতিম ফুলের বনে।
তোমার ছবির সামনে দাঁড়াই গভীর অনুরাগে
শ্রাবণ মাসে রবীন্দ্রনাথ বিবেক হয়ে জাগে।
শ্যামলা গাঁয়ের একটি মেয়ে নূপুর পরা পায়ে
মেঘ-বাদলের পদ্য লেখে বৃষ্টি ভেজা গায়ে।
হয়তো কোনো বাপ-মা হারা একটি রোগা ছেলে
সোনার কাঠি খুঁজে পেত রবীন্দ্রনাথ পেলে।
এসব যেন শ্রাবণ মাসের মনের কথা হয়ে
ঘর ও বাহির শোক লিখেছে অনন্ত বিস্ময়ে
কাজলা চোখে জল এসে যায় মন রাঙা কুমকুমে
শ্রাবণ যেন দৌড়ে বেড়ায় উত্তরে-পশ্চিমে
ফুল যেন আজ নিজেই ঝরে ইচ্ছে গাঁথে মালা
রবিঠাকুর সুখ অসুখে মেঘ-বাদলের পালা।
আজ শ্রাবণের বাইশ তারিখ শোক বিরহে চিনি
নিজের হাতে সলতে পাকাই সবার ঠাকুর তিনি।
শ্রাবণ মেঘে ভাসতে থাকে আপনজনের ছবি
তিনি আজও সবার কাছে মূর্ত বিশ্বকবি।
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি বাংলার ঘরে ঘরে
আজ তো সবাই তাঁর দু’চোখে পঞ্চপ্রদীপ ধরে।
আজ বাইশে শ্রাবণ দিনে মন কেমনেই থাকি
ভক্তি শ্রদ্ধা হৃদয়-বীণা তাঁর দু’পায়ে রাখি।
জীবন নদীর বনস্পতি সবার কাছাকাছি
তাঁর জন্যে দুঃখ ভুলে নতুন করে বাঁচি ।
মন কেমনের শ্রাবণ কাঁদে মেঘলা আকাশ ডাকে
হৃদয় বলে, আমার কাছে রবীন্দ্রনাথ থাকে।