নতুন করে না বাড়ালে দুদিন পারেই শেষ হচ্ছে সরকারঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ (লাকডাউন)। শেষদিকে এসে এই লকডাউন অনেকটাই ঢিলেঢালা হয়ে গেছে।
জনসাধারণ প্রয়োজনে যেমন ঘর থেকে বের হচ্ছে, তেমনি বিনা কারণেও বের হচ্ছে। প্রধান সড়কগুলোতে গণপরিবহন না চললেও ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, রিকশা অবাধে চলাচল করছে।
এ ছাড়া পুলিশের চেকপোস্টগুলোতেও লকডাউনের শুরুতে যেমন কড়াকড় ছিল, এখন তা দেখা যাচ্ছে না। বেশিরভাগ চেকপোস্ট অবাধে পার হয়ে যাচ্ছে রিকশার যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে লকডাউনের এমনি চিত্র দেখা গেছে। তবে গণপরিবহন না চালাচল করায় রাজধানীতে চিরচারিত যানজট দেখা যাচ্ছে না।
মেরুল বাড্ডা থেকে রিকশায় মতিঝিলের অফিসে এসেছেন আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মেরুল বাড্ডা থেকে মতিঝিল আসতে ২০০ টাকা রিকশা ভাড়া দিতে হয়েছে। মোটরসাইকেলে আসলে খরচ আরও কম হতো। তবে চেকপোস্টে মাঝে-মধ্যে মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে চেক করে পুলিশ। রিকশায় আসলে এই ঝামেলায় পড়তে হয় না। তাই বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশায় এসেছি।’
রাজধানীর কাঁঠালবাগান থেকে মোটরসাইকেলে দিলকুশায় অফিসে আসা জিনান মাহমুদ বলেন, ‘ব্যাংকে চাকরি করার কারণে নিয়মিত অফিসে আসতে হয়। শাহবাগ মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট আছে, তাই শাহবাগ মোড়ে না গিয়ে ভেতর দিয়ে আসি। এখনো কোথাও কোনো সমস্যায় পরিনি।’
যাত্রাবাড়ী থেকে রিকশায় বিজয়নগর অফিসে আসা রাখি আক্তার বলেন, ‘রাস্তায় সবকিছুই চলছে, শুধু গণপরিবহন চলছে না। এতে আমাদের মতো স্বল্প বেতনের কর্মীদের কষ্ট হচ্ছে। গণপরিবহন চালু থাকলে ২০ টাকা দিয়েই অফিসে আসতে পারি। এখন রিকশায় ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। এ অবস্থা চললে বেতনের বেশিরভাগ টাকা রিকশা ভাড়া বাবদ চলে যাবে।’