করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যে রোববার (১ আগস্ট) থেকে চালু হয়েছে দেশের রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা।
সরকার রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে সব ধরনের গণপরিবহন ১৬ ঘণ্টার জন্য চালু করায় ঢাকামুখী শ্রমজীবী মানুষ ঢল রয়েছে। রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে গণপরিবহন।
লকডাউন শিথিলে ভোর থেকেই দূরপাল্লার গণপরিবহনগুলো ঢাকায় প্রবেশ করছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাবতলীতে ঢাকামুখী মানুষের চাপ বাড়লেও গত কালকের তুলনায় কিছুটা কম রয়েছে। তবে যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টরা। নির্ঘুম রাত পাড়ি দিয়ে অনেকেই রোববার সকালে যোগ দিয়েছেন কর্মস্থলে। আবার কেউ কেউ রাস্তায় কিছুটা দুর্যোগের কারণে বিলম্বে হলেও কর্মস্থলে যোগ দেবেন।
এ ব্যাপারে বগুড়া থেকে ঢাকায় ফেরা পোশাক শ্রমিক মইনুল বলেন, আর কিছুক্ষণ পর কর্মস্থলে যোগ দেব। গতকাল দুপুর থেকেই ঢাকায় আসার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু গাড়ি না পেয়ে ট্রাকে করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঢাকায় এসেছি। তবে গণপরিবহন চালুর ঘোষণা আমি জানি না। আর আগে থেকেই কয়েকজন মিলে একটি ট্রাকে ভাড়া চুক্তি করে উঠে পড়ায়। গণপরিবহন ছাড়লেও কিছু করার ছিল না। কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ঢাকায় আসতে হয়েছে।
অফিস রোববার খুলছে জেনে শনিবার রাতে রওনা দেই যশোর থেকে। সরসরি বাস না পেয়ে তিন-চারটি গাড়ি বদলে ঢাকায় ফিরেছেন বলে জানালেন পোশাক শ্রমিক নূরুল হক।
তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারবো না। দেরি করে হলেও অফিসে হাজিরা দিতে হবে। তবে আশা করি, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বুঝবে।
এদিকে গণপরিবহন খুলে দেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন গাবতলীতে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর গাজী মাহবুব আলম। তিনি বলেন, গাড়ি চলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের চেকপোস্ট তুলে নেওয়া হয়েছে। গাড়িচালকদের মধ্যে কিছু সংশয় ছিল সেটিও কেটে গেছে।