আবারও ফিরে এলো শোকের মাস আগস্ট। করোনার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এবারের শোকাবহ মাসটিতে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির আয়োজন শুরু হয়েছে। আজ শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন।
১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীনতা বিরোধী দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নিহত হন।
তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, অবিসংবাদিত নেতা।
সেদিন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই ঘটনায় বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী মহিয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির পিতার তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল খুনিদের হাতে হত্যার শিকার হন।
’৭৫-এর ১৫ আগস্ট খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ককের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়।
আবার এই শোকের মাসেই আরেকটি নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনার জন্ম হয়। ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। ওই হামলার টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।