আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে জাতিসংঘের মূল স্থাপনায় ‘সরকারবিরোধীদের’ হামলায় একজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছে।
দেশটিতে জাতিসংঘের সহকারী আবাসিক প্রধানের বরাতে রয়টার্স জানায়, শুক্রবার রকেটচালিত গ্রেনেড হামলা ও গুলি চালানো হয় হেরাতের জাতিসংঘ কম্পাউন্ডে। তালেবান যোদ্ধারা হেরাত শহরের অনেকখানি ভেতরে প্রবেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই আক্রমণ করা হয়। অবশ্য জাতিসংঘের কোনো কর্মকর্তা এতে হতাহত হননি।
কর্মকর্তারা জানান, জাতিসংঘের ওই প্রাদেশিক সদর দপ্তরের কাছে আফগান সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তালেবানদের তীব্র লড়াই চলছিল ওই সময়।
হামলার পর এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই হামলার একটি পূর্ণ চিত্র দ্রুত পাওয়ার চেষ্টা করছে তারা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগও করা হচ্ছে।
কারা এই হামলা চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে একজন পশ্চিমা নিরাপত্তাকর্মী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শহরের কূটনৈতিক স্থাপনাগুলোকে উচ্চ সতর্কতার মধ্যে রাখা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা জেইক সুলিভান বলেন, “হেরাতে জাতিসংঘ কম্পাউন্ডে এই হামলার কড়া নিন্দা জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।”
আফগানিস্তানে সহিংসতা কমানোর আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে বিবৃতিতে।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের দূত জানিয়েছেন, ওই কম্পাউন্ডের প্রবেশপথের কাছ থেকে আক্রমণ করা হয়েছে, যেখান থেকে স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে এটা জাতিসংঘের স্থাপনা।
জাতিসংঘ মহাসচিবের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ডেবোরাহ লিওনস বলেন, “এই আক্রমণ দুখঃজনক এবং অত্যন্ত কড়া ভাষায় আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি।”
তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্ভবত ‘ক্রসফায়ারের’ কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।
তাদের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে বলেন, ওই কার্যালয়ের খুব কাছেই লড়াই চলতে থাকায় সম্ভবত নিরাপত্তারক্ষী আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তালেবান যোদ্ধারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল এবং জাতিসংঘের কম্পাউন্ড কোনো হুমকির মুখে নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডার জানিয়েছেন তারা আফগান সরকারি বাহিনীকে সমর্থন যোগাতে বিমান হামলা বাড়িয়েছে। তবে ৩১ অগাস্টের তা অব্যাহত রাখা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনা সরিয়ে নেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ অগাস্ট।