শিল্প-কারখানার মালিকদের সুপারিশে সরকার সিদ্ধান্ত দিয়েছে কারখানা খোলার। সেই সিদ্ধান্তের প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই রাজধানীর শিল্পাঞ্চলে আসতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ।
এর আগে করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের সময় বন্ধ রাখা হয় শিল্প-কারখানা।
কর্মস্থানে ফেরা মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে প্রজ্ঞাপন দেওয়ার পরপরই ট্রাক ও মাইক্রোবাসে করে রাতেই রাজাধানীর উদ্দেশে রওনা হয়েছে মানুষ।
শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল ও নবীনগরে আসতে দেখা গেছে হাজারো মানুষকে। কেউ মাইক্রোবাসে কেউবা ট্রাকে আবার কেউ মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে আসছেন। সারারাত জেগে আশুলিয়ায় আসতে আসতে ক্লান্ত হয়ে পরেছেন তারা।
জামালপুর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বাইপাইল অটেরিকশায় করে এসেছেন বাবু নামে এক পোশাক শ্রমিক।
তিনি বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী একই কারখানায় কাজ করি। ভেবেছিলাম ৫ তারিখ কারখানা খুলবে। আমাদের কারখানা ছুটিও দিয়েছিলো ৫ তারিখ পর্যন্ত। কিন্তু হঠাৎ করে কাল সিদ্ধান্ত হলো কারখানা খোলার। এরপর আমার লাইনের ইনচার্জ ফোন দিয়ে বলে কারখানা ১ তারিখ থেকে খোলা যেভাবে পারো ঢাকায় চলে এসো। পরে আর কি করার জামালপুর থেকে রাত ২টার দিকে অটোরিকশায় উঠেছি আসতেই তিন বার সিএনজি পাল্টিয়েছি৷ এখন চন্দ্রা থেকে ভ্যানে করে আসলাম। আসতে প্রায় দুইজনে মিলে ১৪০০ টাকা গাড়ি ভাড়া লেগেছে।
ট্রাকে করে রংপুর থেকে এসেছেন মিতালি, হাফেজা, সুমন, মানিক, মিজানের মত আরও অনেকেই। তারা বলেন, কারখানা খুলে দিয়েছে। কাল থেকেই নাকি কারখানা চলবে। এখন কারখানায় গিয়ে ডিউটি করতে না পারলে চাকরি থাকবে না। তাই সবাই মিলে যে ট্রাকে বাড়িতে গিয়েছিলাম সে ট্রাকেই আবার ঢাকায় আসলাম।
এদিকে শিল্পাঞ্চল সাভারের প্রবেশ পথে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাড়ইপাড়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট দেখা গেছে। সেখানে প্রত্যেক গাড়িকে থামিয়ে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে মানুষ হেঁটে ঢাকার দিকে আসছে।
এ বিষয়ে সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টি আই অ্যাডমিন) আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট রয়েছে। কোনো গণপরিবহন সড়কে চলাচল করছে না। সকাল থেকেই নজরদারিতে রয়েছে প্রত্যেকটি সড়ক।