সুস্পষ্ট লঘুচাপটি এখন দেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হওয়া বয়ে যাচ্ছে। তাই সমুদ্রবন্দর ও দেশের উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত বৃহস্পতিবারও বহাল রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে চার বিভাগে অতিভারি বৃষ্টি অব্যাহত এবং এতে পাহাড়ধসের শঙ্কার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাকা জোরালো বাতাস বইছে। এরমধ্যে মাঝে মাঝেই আসছে দমকা হাওয়া।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মোংলায়। সেখানে ২৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অন্যান্য বিভাগের তুলনায় কম ছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও কাছাকাছি এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও কাছাকাছি পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থান করছে। এটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা হওয়া বইছে। আগে সুস্পষ্ট লঘুচাপটির একটি অংশ সমুদ্রে ছিল এখন এটি পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে গেছে। এখন এটি আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যাবে।’
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।
সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাব আরও দু-দিন থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সতর্কসংকেত আর বাড়বে না, আজও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত কন্টিনিউ (দেখাতে) হবে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবারও খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও অতিভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।’