কলাপাড়ায় সরকারী খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের খবর প্রকাশের পর, জনস্বার্থে ইউএনও’র ব্যবস্থা গ্রহণ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
2 মিনিটে পড়ুন
ছবি: সাময়িকী

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পাঁচজুনিয়া সরকারী খালে অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের খবর গনমাধ্যমে প্রকাশের পর কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহম্মদ শহিদুল হক জনস্বার্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

সোমবার মুষলধারার বৃষ্টি উপেক্ষা করে তিনি সাড়ে তিন কি.মি. দীর্ঘ খালে প্রভাবশালীদের দেয়া ১৬টি অবৈধ বাঁধের ১০টি বাঁধ কেটে দিয়েছেন। এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দীন তালুকদার সহ স্থানীয়রা। বৈরী আবহাওয়ার কারনে বাকী ৬টি অবৈধ বাঁধ মঙ্গলবার কেটে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন সূত্র।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, পাঁচজুনিয়া খালটি দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ ও নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি খালটির বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। এতে প্রায় দুই হাজার একর জমি বছরের অর্ধেক সময় ধরে পানিতে ডুবে থাকায় চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যায়।

গতকাল সোমবার ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান এসে বাঁধ কেটে দেয়ায় পানি নামতে শুরু করেছে। বাকী বাঁধ গুলো কেটে দিলে এ বছর জলাবদ্ধতার নিরসন হলে চাষাবাদ করা যেতে পারে।

- বিজ্ঞাপন -

ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার বলেন, জনগনের স্বার্থে খালের অবৈধ বাঁধ কেটে দেয়া হয়েছে। গ্রামের কৃষকরা এখন চাষাবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারবেন।

কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহম্মদ শহিদুল হক জানান, ’নদী, সরকারী খাল, জলাশয় ও স্লুইজ গেট দখলে তৈরী যে কোন অবৈধ বাঁধ জনস্বার্থে পর্যায়ক্রমে অপসারন করা হবে। এগুলো অপসারনে ইতোমধ্যে বেশ কিছু কেস নথি তৈরী করে জেলায় পাঠানো হয়েছে। লকডাউনের পর জেলা থেকে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হলে অপসারন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!