দেশের মাটিতে তিন ফরম্যাটে প্রতিপক্ষকে হারানোর রেকর্ড থাকলেও বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো কোনো পূর্ণাঙ্গ সিরিজে জয়ের রেকর্ড করলো বাংলাদেশ। স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে তিন ফরম্যাটে হারিয়ে সেই রেকর্ডের স্বাদ পেলো টাইগাররা।
সবশেষ ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার ওয়ানডে-টি-২০ সিরিজ জিতলেও, টাইগাররা হেরে গিয়েছিল টেস্টে। ২০০৯ সালে খর্ব শক্তির উইন্ডিজ দলকে টেস্ট-ওয়ানডেতে হারালেও টি-২০ সিরিজে হারাতে পারেনি সাকিবের দল।
এবার সেই আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ পেলো বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগেই টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করা টাইগাররা গেল ম্যাচেই পারতো এ বৃত্ত পূরণ করতে। কিন্তু দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা অপেক্ষা বাড়িয়েছে। তাই শেষ টি-২০ জিতে,সিরিজ জয়ের সঙ্গে অর্জনের খাতায় যোগ হলো আরো একটি নতুন অধ্যায়।
ডু অর ডাই ম্যাচে হারলেই সিরিজ হাতছাড়া হতো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ান অধিনায়ক সেকান্দার রাজা। ব্যাট করার সিদ্ধান্তটা কতোখানি যুক্তিযুক্ত হয়েছিলো স্বাগতিকদের ব্যাটিং দেখেই যেকারো অনুমেয়। সফরকারি বোলারদের নাকানিচুবানি খাইয়ে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৩ রান।
এমন পাহাড়সম টার্গেটে প্রতিপক্ষ যেকোনো দলেরই ভয় ধরাতে পারে। তবে লক্ষ্য অটুট রেখে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। শুরুতে নাঈম শেখ দলকে হতাশায় ফেলে বিদায় নিলেও একপ্রান্ত বুক চিতিয়ে ব্যাট করতে থাকেন সৌম্য সরকার। সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে সমানতালে এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। তবে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েও দলীয় ৭০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৫ রান করেই মাঠ ছাড়েন সাকিব।
তবে হাল না ছাড়া সৌম্য দলীয় ১৩৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬৮ রানে জঙ্গির বলে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। তার বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ, আফিফ ও শামীম পাটুয়ারির দ্রুত গতির রানে ৪ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় সফরকারি বাংলাদেশ।