বরিশালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা সংক্রামণের কারণে এবার বরিশাল নগরীর ঈদগাহে ঈদুল আজহায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।
তবে বরিশাল নগরীর ৩০টি ওয়ার্ড এবং বিভাগের ৬ জেলা ও ৪০ উপজেলায় বিভিন্ন মসজিদে সহস্রাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার ২১ জুলাই সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন মসজিদে অনষ্ঠিত ঈদের জামাতে ভিড় এড়িয়ে চলার কারণে ঈদের দ্বিতীয় জামাতেরও আয়োজন করা হয়।
সকাল ৮টায় নগরীর কালক্টরেট জামে মসজিদে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল এবং জেলা প্রশাসক জসীমউদ্দীন হায়দারসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নামাজ শেষে রাষ্ট্রের পক্ষে জনগণের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বার্তা দেন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক। পরে করোনা থেকে মুক্তি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বরিশালের সকল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামী বিধান অনুযায়ী কোরবানীর মাংস এবং চামড়া ব্যবস্থাপনার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া করোনা থেকে সুরক্ষায় সবাইকে মাস্ক পরিধান এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানান বিভাগীয় কমিশনার।
এদিকে করোনা সংক্রামন ভয়াবহ আকার ধারন করায় এবারের ঈদেও বরিশালের সকল বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
বিভাগের সর্ববৃহত ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায় বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরীফ মাঠে। দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় পিরোজপুরের ছারছিনা দরবার শরীফ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়। ঝালকাঠীর এনএস কামিল মাদ্রাসা মাঠে ঈদের অন্যতম বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়।
পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ হযরত ইয়ারউদ্দিন খলিফা (রা.) দরবার শরীফ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। বরিশাল জেলার উজিরপুরের গুঠিয়ার বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে ও ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়।
নগরীর চকবাজার এবাদুল্লাহ মসজিদে সকাল ৮টায় প্রথম ও ৯টায় দ্বিতীয়, হেমায়েত উদ্দিন রোডের জামে কসাই মসজিদে সকাল ৮টায় ও ৯টায় এবং সদর রোডের বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭ টায় ও সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং কেন্দ্রিয় কারাগার জামে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭ টায়।
অপরদিকে, ঈদ জামাতকে ঘিরে নগরজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং র্যাবসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলোর বাইরে নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করে মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা। ফলে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ঈদ উল আযহার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে।