আরশোলাকে দেখে অনেকের গা ঘিনঘিন করলেও খয়েরি রঙের এই পতঙ্গটির খোঁজে কিন্তু হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ায় চিনের বহু মানুষ।
ওখানকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, দেখতে যেমনই হোক না কেন, আরশোলার গুণের শেষ নেই। বিকেলের চায়ের সঙ্গে যেমন মুচমুচে আরশোলা ভাজার কোনও তুলনা নেই, তুলনা নেই আরশোলার জুসের, ঠিক তেমনি পেটের গোলমাল দেখা দিলেই রয়েছে আরশোলার দেহ রস থেকে তৈরি মোক্ষম ওষুধও। চিনের লোকজনদের যে কোনও শারীরিক সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য ডাক্তারেরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রেসক্রাইভ করেন— আরশোলা।
চিনের শাংচান শহরের একটি বিল্ডিংয়ে প্রতি বছর কম করেও ৬০০ কোটি আরশোলার চাষ করা হয়। ওই বিল্ডিংয়ের আয়তন দুটো বড় খেলার মাঠের সমান।
আরশোলাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য বাড়িটির ভেতরে আলোর প্রবেশ নিষিদ্ধ। আরশোলাদের মহাআনন্দে বেঁচে থাকা ও বংশ বিস্তারের কথা মাথায় রেখেই নির্ধারন করা হয় সেখানকার তাপমাত্রা।
প্রাচীন চিনা চিকিৎসা অনুযায়ী, আরশোলার রস খেলে পেট খারাপ সেরে যায়। বমি বন্ধ হয়। পেটের আলসার এবং নিঃশ্বাসের কষ্ট দূর হয়। তাই এই বিল্ডিংয়ে আরশোলাগুলোকে রেখে, খাইয়ে-দাইয়ে, অত্যন্ত আদর যত্নে লালন পালন করে স্বাস্থ্যবাণ করে তোলা হয়।
এর পর সময় বুঝে দেহ থেকে রস বের করে তৈরি করা হয় স্যুপ কিংবা সরবত। এই সব স্যুপ এবং সরবতের ভেষজ গুণ যেমন অসামান্য, এর স্বাদও অতুলনীয় বলে দাবি করেছেন চিনের শানডং কৃষি বিদ্যালয়ের গবেষকেরা।