বরগুনায় নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিলেন কুপিয়ে জখম ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মোশাররফ হোসেন। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় শিল্পকলা একাডেমিতে জেলার ২৮ জন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সঙ্গে মোশাররফ হোসেনকেও শপথ করান বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান।
এ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
জানা যায়, শপথবাক্য পাঠ শেষে অন্যদের পাশাপাশি আসামি মোশাররফও জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে গ্রুপ ছবি তোলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলায় ২৯টি ইউনিয়নে গত ২১ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম মুজিবুল হক কিসলুর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে
স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ছোট ভাই মোশাররফ হোসেন।
গত ১২ জুন দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসেন ও তার কর্মী বাহিনী ইউনিয়নের পূর্ব কেওরাবুনিয়া এলাকার নয়া বাজারের রাস্তায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম মজিবুল হক কিসলুর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেন।
এসময় নৌকা প্রতীকের কর্মী মজনু শরীফকে হত্যার উদ্দেশে মোশাররফ হোসেন অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ এবং পা ভেঙে দেন। এছ্ড়াা মজনুর মাথায় কুপিয়ে তাকে জখম করেন মামলার দুই নম্বর আসামি নবনির্বাচিত মেম্বার আবুল বাশার।
এ ঘটনার সময় নয়টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং একটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে নৌকার প্রার্থী মজিবুল হক কিসলু বাদী হয়ে ১৩ জুন বরগুনা থানায় এব্যাপারে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখনো কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, ‘আসামি মোশাররফ হোসেনকে শপথবাক্য পাঠ না করানোর জন্য বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, বরগুনা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বরগুনা থানাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারপরও জেলা প্রশাসক শপথবাক্য পাঠ করিয়ে একজন আসামিকে নিয়ে গ্রুপ ছবি তুলেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা না থাকার কারণে মোাররপ হোসেনকেও শপথবাক্য পাঠ করানো হয়েছে।’
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা আদালতে চার্জশিট দিয়ে দিয়েছি। এখন আদালত যদি ওয়ারেন্ট দেন, তাহলে আমরা আসামিকে গ্রেফতার করব।’