শরৎ ও জন্মক্ষণ
মাতৃ গর্ভের নিরাপত্তা ভেঙে
ব্রহ্মাণ্ডের নরকে বর্ষার কান্না শেষে
এসেছিলাম এই শরৎ ঋতুতে।
মৃত্তিকা আর প্রকৃতির সাথেই স্বভাবত মিশে আছি
সাথে শরৎ ঋতুর মতোই
চরম খেয়ালী চলমান মেঘলা আকাশ হয়ে..
বহুবর্ষ আগে এসেছিলাম ।
মৃত্তিকা হতে উঠে আসা নিষ্পাপ তরুলতা
আর মাথা উচু করে থাকা নিষ্পাপ বনবৃক্ষ,
আসা মাত্রই ভালোবাসায় তারা বরণ করেছিল।
বিতাড়িত সৌজন্য নিয়ে আসা
নিষ্পাপ সন্তান,
যে এসেছে সহজাত শরৎতের হাত ধরে,
কখনও বা আসে জন্মক্ষণে বছরের পর বছর,
চির যৌবনের শরৎতে
বেহালার সুরে
চরম খেয়ালী চলমান মেঘলা আকাশ হয়ে
আর কোমল কাশ ফুল হয়েই..
নিরীহ পুরুষ
আমি পরিপূর্ণ কিংবা উপচে পড়া
ব্যর্থ হতাশ নিরীহ পুরুষ
বসে থাকি সূর্যের তীক্ষ্ণ তাপে
পুড়ে আরও অভিশপ্ত হতে
হতে
কালের অভিশপ্ত মহাকালে…
প্রেম ও বিষাক্ত ক্যাকটাস
আমার মুখে জন্ম বিষাক্ত ক্যাকটাসের
আমার হৃদয়ে চাষ হয় কোমল দূর্বা ঘাস..
প্রেম নেই,নেই মুগ্ধতা,
আছে বাণিজ্যিক হিসাব, অনাদায়ী পাওনা,
আর আছে মুদ্রা দানবদের কথা।
প্রেম নেই,কিছু নেই!
আমার মস্তিষ্কে দ্রোহের বাস,
তাতেই আমার হয় নাকি সর্বনাশ, প্রেম যেখানে নির্বাসিত কিংবা বিধবা বারো মাস।
পশু ও প্রেম
তুই নীল বিষাক্ত চোখে ভরসা নিয়ে তাকাস!
এ মুখ, এ চোখ তোদের নয়,
এখানে বিষাক্ত ক্যাকটাসের চাষ বারো মাস,
আর আমার সর্বনাশ!
আমার মুখে ক্যাকটাসের উর্বর চাষ,
বাতাস ভরা ফাঁপা বেলুনেরা দূরে চলে যাস,
আমি যে ক্যাকটাস!
প্রিয়তমা
দেখো প্রিয়তমা দেখো
তোমাতে প্রথম প্রেম, প্রথম ভালোবাসা
পুড়ছে কেমন তোমার পাড়ার
বৃদ্ধ বটতলার নদীর কূল কিংবা শ্মশান ঘাট!
পিশাচ ও হায়েনার সাথে
শ্মশানে পোড়া মাংস ভক্ষণ শেষ করে
তাজা নোনা রক্ত পানের আগের মহাউল্লাস!
গাঢ় খুশির রাঙা ফাগুন ভোর-
ভদ্রতা,
আর রুচির দায়ভারে আমার সীমাবদ্ধতা!
মৃত্তিকা
আমার সৃষ্টি, ধ্বংস অথবা,
পৃথিবীতে আমার সমাপ্তি
দেহ জানাবে নতুনকে তাঁর প্রশ্নের উত্তর,
দেহ হবে অর্থবহ জাগ্রত খন্ডিত,
যা আবার ফিরে আসবে মানব শরীরে।
আমি আবার জেগে উঠবো,
আমি ভালবাসবো নতুন করে, নতুনের মাঝে
আবার হয়তো ফিরেও আসবো
আপাতত নরক মৃত্তিকা তুমি আমায় কাছে টানো, ভবিষ্যৎতে পাবেনা ভেবে,
যদিও আরো একবার আমি ভাসতে চাই ধানসিঁড়ির তীরে ,
কিংবা আমি, মাটি ভালোবাসি
মৃত্তিকা সেই ভেবে ভালোবাসো আমায় মৃত্তিকা,
আমি যে তোমার মায়ার টানে আসি-ফাঁসি
প্রিয় শ্যামল ও মহামায়া প্রকৃতি পাহার, নদী, সবুজ ও মাটি।
উপলব্ধি!
যান্ত্রিক কষাঘাতে মানুষ শুধুই স্বস্তি খোঁজে, হিংস্র চিলের ডানায় উড়ে!
নরক গুহা হতে সামান্য দূরে
আর এক নরক গুহার মুখে
অভিশপ্ত জীবনের পাপিষ্ঠ দেবতার পায়ে ধরে..
অভিশপ্ত পথ ধরে ক্লান্ত মানুষ ক্লান্তিতে
আশ্রয় নেয় ইবলিশ গাছের ছায়া তলে,
পড়ে থাকে রুগ্ন কঙ্কাল আর
অভিশপ্ত সময়ের শিশু!
অজস্র মানুষের ধ্বংসের পরেও
বেঁচে থাকে শিশুটি
শিশুটির এখন সামনের পথ চলা …
পাপিষ্ঠ আমরা জানি কি
চাঁদ মামা সবার কপালে টিপ দেয় না!