আলো অন্ধকারে যাই (পর্ব ৬)

গৌতম রায়
গৌতম রায়
11 মিনিটে পড়ুন

পঞ্চম শ্রেণিতে বাংলা বিষয়ে আমাদের সিলেবাসে একটি পদ্য ছিলো – “সামান্য ক্ষতি”, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা, যার প্রথম কয়েকটি লাইন –

“বহে মাঘ মাসে শীতের বাতাস
স্বচ্ছ সলিলা বরুণা
পুরী হতে দূরে গ্রামে নির্জনে
শিলাময় ঘাট চম্পক বনে
স্নানে চলেছে শত সখী সনে
কাশীর মহিষী করুণা।“…

একটু দীর্ঘ পদ্য। বিষয়টি এরকম – কাশীর রাণী করুণা একদিন শত সখীসহ প্রাসাদ থেকে বের হলেন চিত্তবিনোদনের উদ্দেশ্যে। বরুণা নদীর ধার দিয়ে যাবার প্রাক্কালে তিনি সেথায় স্নান সমাপন করেন। তখন শীতের মাঘ মাস। রাণীর প্রচন্ড শীত অনুভূত হলে তিনি তা নিবারণের জন্য তার সহচরীদেরকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। অতি উৎসাহী সহচরীবৃন্দ আশপাশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পর্ণকুটির জ্বালিয়ে দিলে সে আগুনের উত্তাপে রানি শীত নিবারণ করেন। অপরাহ্নে রানী তাঁর সহযোগীদের নিয়ে কলহাস্যে রাজপ্রাসাদে ফিরে আসেন। এটি রাজধর্মের উপযুক্ত কোন কাজ হয়েছে কিনা তা রানীকে জিজ্ঞাসা করলে রানী এটিকে ’সামান্য ক্ষতি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। প্রজাবান্ধব রাজা রানীর এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ হন। তিনি রানীর রাজবস্ত্র কেড়ে নিয়ে ছিন্ন বস্ত্রে তাঁকে প্রাসাদ থেকে বের করে দেন। তিনি আদেশ দেন যতদিন রানী দ্বারে দ্বারে ভিক্ষে করে যে ক’টি কুটির জ্বালিয়ে তিনি শীত নিবারণ করেছেন সেগুলি পুনারায় নির্মাণ করে না দেন, ততদিন তিনি প্রাসাদের বাইরে থাকবেন ও ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জীবন নির্বাহ করবেন ।
রবীন্দ্রনাথের এই মানবতাবাদী কবিতাটি আমাদের পড়িয়েছিলেন বারী স্যার, যদিও তিনি শরীরচর্চা শিক্ষক ছিলেন। কোন এক পরীক্ষাতে তিনি একটি প্রশ্ন দিলেন – সামান্য ক্ষতি কবিতার ক্ষতি কি সত্যিই সামান্য ছিল? আমরা প্রত্যেকেই লিখলাম এটি মোটেই সামান্য ক্ষতি নয়। শিক্ষার্থীভেদে উত্তর ছিলো – এটি মোটেই সামান্য ক্ষতি ছিল না /এটি অত্যন্ত বড় ক্ষতি ছিল /এটি খুবই বড় ক্ষতি ছিল/এটি একটি অসাধারণ ক্ষতি ছিল। প্রশ্নের পূর্ণ নম্বর ছিল পনেরো। আমরা কেউই পনেরো নম্বরের এই প্রশ্নের উত্তরে দু-এক লাইনের বেশি কী লেখা যায় খুঁজে পেলাম না। সহপাঠী দেবাশীষও লিখেছিলো – এটি মোটেই সামান্য ক্ষতি ছিল না। তবে প্রশ্নের পূর্ণ নম্বর যেহেতু পনেরো অথচ লেখার তেমন কিছু সে খুঁজে পাচ্ছিলো না সেজন্য সে ’এটি মোটেই সামান্য ক্ষতি ছিল না’ এই কথাটুকু লেখার সময় ’না’ এর আকারটি এতো বড় করে লিখলো যে তাতেই পৃষ্ঠা ভরে গেলো। বারী স্যার যেহেতু আমাদের অনুমিত সিদ্ধান্তের পক্ষে কোনো যুক্তি চাননি, তাই আমরাও এটি কেন সামান্য ক্ষতি নয় সেটি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন বোধ করিনি। পরীক্ষার খাতা আমাদের দেয়া হলে আমরা দেখি এই প্রশ্নটিতে কেউই দুই বা তিনের বেশি পায়নি। কেনো এমন হলো সেটি স্যার এর কাছে জানতে চাইলে স্যার রেগে আগুন হয়ে বল্লেন – গাধা, তোরা লিখেছিস এটি কেন সামান্য ক্ষতি ছিলোনা? তোরা ভাবলি কী করে এটির ব্যাখ্যা না পেলে আমি তোদের ভালো নম্বর দেবো? নম্বর দেখে বুঝতে পারিসনি এটি এক/দুই লাইন এর উত্তরে হবে না … ইত্যাদি, ইত্যাদি।
আমরা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাই। স্যার আমার কান এই মলে দেন তো সেই মলে দেন। এটির কারণ আমি বাংলাতে ভালো সাধারণত ভালো নম্বর পেতাম এবং এর আগের এক পরীক্ষায় স্যার আমাকে ৭৮ নম্বর দিয়েছিলেন। তিনি সেটিও উল্লেখ করলেন। লাজুক মুখে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আমার কী করার ছিলো আমি বুঝে পাইনি। তবে আমরা খানিকটা বোকাও (?) ছিলাম। একটু বুঝিয়ে বলা যাক।
স্যার এর মেয়ের নাম ছিল কবিতা। যে পরীক্ষার কথা এখানে বলা হলো সেটির প্রশ্ন প্রণয়নের সময় বালিকা দেখে ফেলেছিলো তাঁর বাবা কী প্রশ্ন করেছেন। সে আমাদের কয়েকজন বন্ধু যারা তাদের বাড়ির আশপাশে থাকতো তাদেরকে বলেও দিয়েছিলো এই প্রশ্নটি আসবে। আমাদের কাছে সেই সংবাদটি পৌঁছায় পরীক্ষার পনেরো/বিশ মিনিট আগে। মনে আছে শিক্ষক মিলনায়তনের পাশের কক্ষে আমাদের পরীক্ষার আসন পড়েছিল। আমি ও বন্ধুবর লিটু (অধ্যাপক নিয়ামুল করিম) বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। কে যেন এসে বললো এই প্রশ্নটি আসবে। আমরা এই খবরের সত্যতা একেবারেই উড়িয়ে দিলাম একথা বলে যে – ধুর, এটি আবার বড় প্রশ্ন হয় কী করে! অথচ পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখা গেলো কবিতার মুখনিঃসৃত শব্দাবলী যথার্থ। কিন্তু কী আর করা! এখন এই বিষয়টিকে একটু বিশ্লেষণ করা যাক।
টেস্ট আইটেম (যাকে আমরা প্রশ্ন বলে থাকি): “সামান্য ক্ষতি” কবিতার ক্ষতি কি সত্যিই সামান্য ছিল? (১৫)
পাঠক, লক্ষ্য করুন, এখানে ওই ক্ষতিটি কেন সামান্য ছিল বা ছিলোনা সেটি ব্যাখ্যা করতে বলা হয়নি। এখানে কত শব্দে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে সেটিও বলা হয়নি। এটি একটি হ্যা/না-মূলক প্রশ্ন (yes/no question)। এটি কোন বিশ্লেষনধর্মী প্রশ্ন (analytical test item) নয়। এখানে আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার ধরেই নিয়েছিলেন ক্ষতিটি সামান্য ছিল কি না সেটি ব্যাখ্যার প্রয়োজনীয়তা শিক্ষার্থী অনুধাবন করতে পারবে। অর্থাৎ কিছু কথা স্যারের মনের মধ্যে থাকলেও সেটি অনুক্ত রেখেই তিনি প্রশ্ন প্রণয়ন করেছিলেন।
কিন্তু এটি একটি ’ইনভ্যালিড টেস্ট আইটেম’ (invalid test item) ছিলো। আইটেমটির বিষয়বস্তুর বৈধতা (content validity) ছিল যেহেতু কবিতাটি আমাদের পড়ানো হয়েছিল এবং সেখান থেকেই প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু এটির নির্মান-বৈধতা (construct validity) ছিল না। ’হ্যা’ বা ’না’ তে যে প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায় সেটির নম্বর কখনো পনেরো হতে পারে না। পনেরো নম্বরের জন্যে শিক্ষার্থীকে যা যা করতে বলা যেত: (ব্যাখ্যা/ বিশ্লেষণ/ প্রয়োগ/ সংশ্লেষণ/ সংগতকরণ/ অনুসন্ধান/ নতুন কিছু সৃষ্টি/সৃজন) তা প্রশ্নটিতে করতে বলা হয়নি। শিক্ষকের মনের মধ্যে থাকা ধারণার উপর ভিত্তি করে আবার উত্তর মূল্যায়নও করা হয়েছে এবং তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে যে নম্বর প্রদান করা হয়েছে সেটিতে আবার নম্বরের/ মূল্যায়নের বিশ্বস্ততা (marking reliability) মারাত্মকভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। আমাদের শিক্ষক দেখতে চেয়েছিলেন আমাদের বিশ্লেষণী দক্ষতা অথচ সেটি তিনি প্রশ্নে উল্লেখ করেননি।
‘আমি কি সেটাই মূল্যায়ন করছি যা আমার মূল্যায়ন করার করার কথা?’ (Do I test what I’m supposed to test?) – এই প্রশ্নের উত্তর ’হ্যা’ হলে বুঝতে হবে টেস্ট আইটেমটি বৈধ। এটির উত্তর ’হ্যা’ হতে হলে মনের মাঝে কিছু রাখা যাবে না। প্রশ্ন প্রণয়নকারী উত্তরপত্রে কী দেখতে চান সেটি প্রশ্নপত্রে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করতে হবে। পক্ষান্তরে ’নম্বরটি কি যেরূপ হবার কথা সেরূপ হয়েছে?’ (Does the test show what is supposed to show?) – এই প্রশ্নের উত্তর যদি ’হ্যা’ হয় তবে বুঝতে হবে নম্বরের/ মূল্যায়নের বিশ্বস্ততা (marking reliability) নিশ্চিত হয়েছে। প্রশ্ন অনুযায়ী স্যারের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থী ’হ্যা’ বা ’না’ লিখলে তাকে পনেরো দেবার কথা কিন্তু উনি দিয়েছেন দুই বা তিন। এভাবে সেদিন প্রিয় বারী স্যার মনের অজান্তেই শিক্ষার্থীদের সাথে টম ও জেরির মতো খেলেছেন। সেই খেলায় হয়তো স্যার জিতেছেন, শিক্ষার্থী হেরেছে। কিন্তু খেলাটিই ছিল একটি অসম খেলা। আর এই অসম খেলার মূল্যায়ন-অবিশ্বস্ততা (marking unreliability) আমাদের মেনে নিতে হয়েছে।
এটি ১৯৭৫ সালের কথা। মাঝখানে পার হয়েছে পয়তাল্লিশটি বছর। পরিস্থিতি কতটা পাল্টেছে? এখনো বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম মূল্যায়ন-দূর্বল দেশ। এই ভ্যালিডিটি বা রিলায়েবিলিটি সম্পর্কে এখনও বাংলাদেশের ক’জন শিক্ষক অবগত? আজও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এই বিষয়গুলি উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে।
এখনো প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীদের জন্যে পরিষ্কার কোনো নির্দেশনা নেই। হয়তো একটি প্রবন্ধ লিখতে বলা হচ্ছে অথচ সেটিতে কী কী বিষয়ের আলোচনা থাকবে তার কোনো নির্দেশনা নেই। যার ফলে একেক শিক্ষার্থী একেক রকমভাবে উত্তর করছে। আর শিক্ষক নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে নম্বর দিচ্ছেন। কত শব্দে একটি উত্তর লিখতে হবে/ কী লেখার জন্যে কতটুকু নম্বর প্রদান করা হবে সেটির নির্দেশনা নেই। আচ্ছা, উত্তরপত্রে মার্জিন এর জন্যে নম্বর আছে? না থাকলে তার জন্যে নম্বর কাটা হচ্ছে কেন? বাংলা বিষয়ে পত্র লিখনে ’বরাবর’ বা ইংরেজি লেটারে ‘To’ লেখা কি বাধ্যতামূলক? বাংলা বিষয়ে পত্র লিখনে ’বরাবর’ লেখার পরে কি কমা দিতেই হবে? কোনো সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেই। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্নপত্র প্রণেতা ও মূল্যায়নকারীদের জন্য যে নির্দেশনা প্রণয়ন করেছিল সেটি অনুসরণ করলে অন্তত ঐ বিষয়ের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মূল্যায়নে সমন্বয় রক্ষিত হতো। দুঃখজনকভাবে সেটি উপেক্ষিতই থেকে যায় আর এই উপেক্ষার জন্য কাউকেই জবাবদিহি করতে হয়না।
ঢাকার বিখ্যাত একটি স্কুলের প্রশ্নপত্র একটি A4 কাগজের আটভাগের এক ভাগে অস্পষ্ট কালিতে লেখা যদিও সেই স্কুলের বেতন প্রতি মাসে দু’হাজার টাকা আর পরীক্ষার ফিস আরো দু’হাজার টাকা। তিন ঘন্টার একটি পাবলিক পরীক্ষায় ক’টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর স্বাভাবিকভাবে দেয়া যায় সেটি নিয়ে আমাদের কোনো গবেষণা হয়েছে কিনা জানিনা। এটি শিক্ষার্থীদের জন্যে অতিরিক্ত উদ্বেগ ও কষ্টের কারণ হচ্ছে কিনা তা নিয়ে গবেষণা বাঞ্চনীয়। এগুলি মূল্যায়নের ব্যবহারিকতা (practicality) এর সাথে সম্পর্কিত। মূল্যায়নের মৌলিক বিষয়গুলি অর্থাৎ validity, reliability, practicality শেখার আগেই আমরা শিক্ষক হয়ে যাচ্ছি, প্রশ্নপত্র তৈরী করছি, পরীক্ষা নিচ্ছি, নম্বরও প্রদান করছি।
একবার একটি পাবলিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীকে একটি টেক্সট বা অনুচ্ছেদ পড়ে এমসিকিউ এর উত্তর দিতে বলা হয়েছে। অনুচ্ছেদটি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপরে।
প্রশ্ন: সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ কেমনভাবে দাঁড়িয়ে আছে? (অনুদিত)
ডিস্ট্রাক্টর: ক) আড়াআড়িভাবে খ) লম্বাভাবে গ) কোনাকুনি (অনুদিত)
এটি একটি হাস্যকর প্রশ্ন। এটির উত্তর দেবার জন্যে টেক্সটটি পড়ার কোনো দরকার হয় না; সাধারণ জ্ঞান থেকেই উত্তর দেয়া যায়। এটিও একটি ইনভ্যালিড টেস্ট আইটেম। কারণ প্রশ্নটির উদ্দেশ্য অনুচ্ছেদটি পড়ে শিক্ষার্থী কী বুঝছে সেটি মূল্যায়ন করা। এই প্রশ্নের সাথে বোঝাবুঝির কোনো সম্পর্ক নেই।
আমরা এখনো মনের ইচ্ছেতে নম্বর দিই। আর তাই যে উত্তর লিখে একজন শিক্ষার্থী দশ এর মাঝে হয়তো সাত পায়, সেটি লিখেই আরেকজন শিক্ষার্থী হয়তো চার বা পাঁচ বা নয় পেয়ে যেতে পারে। আচ্ছা সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ বানান ভুলের জন্যে যে নম্বর কাটেন সেখানে আমাদেরপলিসি কি? সেটি কি সর্বজন স্বীকৃত? এমনকি একই শিক্ষা বোর্ডের সকল শিক্ষক কি একই নিয়মে খাতা দেখেন বা একই বিদ্যালয়ে একই বিষয়ের সকল শিক্ষক? উত্তর আমাদের সকলেরই জানা – ’না’।
তবুও এভাবেই আমরা বছরের পর বছর পার করছি ধারণা-নির্ভর নম্বর প্রদান বা impressionistic marking এর উপর নির্ভর করে। আমাদের শিক্ষা বাবস্থাটাই পরীক্ষা-কেন্দ্রিক। আর সেই পরীক্ষাটা যতদিন পর্যন্ত valid, reliable, practical না হবে ততদিন আমাদের মূল্যায়ন বারবার প্রশ্নের মুখে পড়বে। এ থেকে উত্তরণ করতে হলে শিক্ষককে মূল্যায়নের মৌলিক বিষয়গুলি জানতে ও প্রয়োগে দক্ষ হতে হবে। যতদিন তা না হবে ততদিন মূল্যায়ন নিয়ে শিক্ষার্থীর সাথে টম-জেরীর খেলা চলতেই থাকবে।
(চলবে)

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
লেখক: গৌতম রায়
গৌতম রায় ইংরেজির অধ্যাপক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেবার পর বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বেশ তরুণ বয়সেই শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। পড়িয়েছেন দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষার প্রতি ভালোবাসা থেকেই পরবর্তীতে ছাত্র হয়েছেন ইংল্যান্ডের এক্সিটার ইউনিভার্সিটির।‌ যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন ইউনিভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি ও ওয়ার্ল্ড লার্নিং থেকে নিয়েছেন পেশাগত প্রশিক্ষণ। এখন কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশের জাতীয় ‌শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে। শিক্ষা বিষয়ক বর্ণিল কাজে নিজেকে ‌সম্পৃক্ত রাখার জন্যই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে তিনি দেখেছেন খুব কাছে থেকে। শিক্ষা ক্ষেত্রে গৌতম রায়ের পছন্দের আঙ্গিনা শিক্ষকের অনিঃশেষ পেশাগত দক্ষতা, ইন্টারেক্টিভ মেটিরিয়ালস ডিভ্যালপমেন্ট, ও লার্নিং এসেসমেন্ট।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!