করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর বরিশাল বিভাগে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় একদিনে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ১৯ জনের মুত্যু হয়েছে।
এছাড়া গেলো ২৪ ঘন্টায় বিভাগের মধ্যে বরগুনায় ২ জন ও ঝালকাঠিতে ১ জনসহ মোট ৩ জন করোনা রোগীর মৃত্যু শনাক্ত হয়েছে।
এ সংখ্যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ এবং এ নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫২ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
এই সময়ে বরিশাল বিভাগে নতুন করে ৫৭৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ৭১০ জন, তবে মৃত্যু ছিলো কম, ১৩জনের।
সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্ত ২২ হাজার ৬৮৪ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৩৮ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ২১৬ জন নিয়ে মোট ৯ হাজার ৬১২ জন,পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৪৯ জন নিয়ে মোট ২৮৯২ জন, ভোলা জেলায় নতুন ৩৭ জন সহ মোট ২২৯৩ জন,পিরোজপুর জেলায় নতুন ৯৪ জন নিয়ে মোট ৩১৯৭ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৬৬ জন নিয়ে মোট ১৯০৩ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ১১৩ জন শনাক্ত নিয়ে মোট আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৮৭ জন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে উনিশজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৩১ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৬১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ করা ৬১৩ জনের মধ্যে ২৩ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয়ের তথ্য সংগ্রাহক জে এ খানের সূত্রে জানাগেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৫ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১২ জন ভর্তি হয়েছেন।
করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ৩০৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ৭৭ জনের করোনা পজিটিভ এবং ২৩০ জন আইসোলেশনে রয়েছেন।
শেবাচিম আরটি পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। যাদের মধ্যে পজিটিভ শনাক্তের হার ৬৪.৩৬ শতাংশ ।