বরিশাল বিভাগে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, ভাঙ্গছে একের পর এক পেছনের রেকর্ড। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় রোববার সকাল পর্যন্ত একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও সর্বোচ্চ ৭১০ জন করোনা-রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা এ যাবৎকালেরও সর্বোচ্চ।
এই সময়ে করোনা আক্রাšত ও উপসর্গ নিয়ে ২৪ ঘন্টায় বিভাগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮৪ আর মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো ১৬।
আর সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে রোববার বরিশাল বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২২হাজার ১০৯ জন। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৬৪ জন।
এছাড়া গত ২৪-ঘন্টায় একই সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গেলো ২৪ ঘন্টায় বিভাগের মধ্যে পটুয়াখালীতে ১ জন, পিরোজপুরে ২ জন, বরগুনায় ১ জন ও ঝালকাঠিতে ১ জনসহ মোট ৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক জানান, মোট আক্রাšত ২২ হাজার ১০৯ জনের মধ্যে আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ২১১ জন নিয়ে মোট ৯ হাজার ৩৯৬ জন,পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৫৭ জন নিয়ে মোট ২৮৪৩ জন, ভোলা জেলায় নতুন ৩৫ জন সহ মোট ২২৫৬ জন,পিরোজপুর জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ১৬০ জন নিয়ে মোট ৩১০৩ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৫৭ জন নিয়ে মোট ১৮৩৭ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ১৯০ জন শনাক্ত নিয়ে মোট আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬৭৪ জন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনার উপসর্গ নিয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রাšত হয়ে ২২৯ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৫৯৬ জনের মধ্যে ৩০ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয়ের তথ্য সংগ্রাহক জেড এ খানের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৪ জন ভর্তি হয়েছেন।
এদের নিয়ে করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৯৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ৬৮ জনের করোনা পজিটিভ এবং ২৩০ জন আইসোলেশনে রয়েছেন।
শেবাচিম আরটি পিসিআর ল্যাবে গত ২৪-ঘন্টায় মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। যাদের মধ্যে পজিটিভ শনাক্তের হার ৬২.২৩ শতাংশ।