নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের সজীব জুসের কারখানা অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল হাশেম সহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গতকাল শুক্রবার রাতেই তাঁদের নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাশেম (৭০) তাঁর ছেলে হাসীব বিন হাশেম (৩৯) তারেক ইব্রাহীম (৩৫) তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩) তানজিম ইব্রাহীম (২১)
আর বাকিরা হলেন সজীব গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহান শাহ আজাদ (৪৩) হাশেম ফুডস লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মামুনুর রশীদ (৫৪) হাশেম ফুডস লিমিটেডের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কাম অ্যাডমিন মো. সালাউদ্দিন (৩০)
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত হাশেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় আগুনের ঘটনা ঘটে। টানা ২০ ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার উদ্ধারকাজ চলাকালে ফায়ার সার্ভিস চারতলা থেকেই ৪৯টি মরদেহ উদ্ধার করে। কিছু মরাদেহে হাড় ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নাই।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতারের আগে সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেম বলেছেন, “জীবনে বড় ভুল করেছি ইন্ডাস্ট্রি করে। ইন্ডাস্ট্রি করলে শ্রমিক থাকবে। শ্রমিক থাকলে কাজ হবে। কাজ হলে আগুন লাগতেই পারে। এর দায় কি আমার? আমি এই দায় নিবোনা। আলাপকালে তিনি আরো বলেন, ‘আমি তো আর যেয়ে আগুন লাগিয়ে দেইনি। অথবা আমার কোনো ম্যানেজার আগুন লাগায়নি। শ্রমিকদের অবহেলার কারণেও আগুন লাগতে পারে।’