সে-রাতের কথা মনে পড়লে আজ আঠাশ বছর পরেও মাসি কাঁদে।
মাসি-মেসো -র অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ হলেও ওদের মনের মিল ছিল খুব — যেন মেড ফর ইচ আদার। ফি-বছর হৈ-হৈ করে পুজোয় বেড়াতে যাওয়া ছিল বাঁধা।
পাশের বাড়ি সে-রাতে কার্তিক পুজো হচ্ছিল ধুমধাম করে। হঠাৎ বুকের যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়লেন মেসোমশাই। ডাক্তার আনা হল দ্রুত কিন্তু ততক্ষণে ম্যাসিভ হার্ট – অ্যাটাকে মাত্র বিয়াল্লিশ বছর বয়সেই সব শেষ।
পরদিন দাহপর্ব শেষ হতেই বেলা আড়াইটা বাজলো। ততক্ষণে রিক্সা – ট্রলিভ্যান – টেম্পোয় চাপিয়ে গঙ্গার ঘাটে কার্তিক বিসর্জন দিতে আসছে দলে দলে। লোকজনে ভর্তি ঘাট। আমাদের মেসোমশাই ছিলেন সুপুরুষ — ঠিক কার্তিকের মতো। আমরাও গঙ্গাস্নান সেরে যেন কার্তিক বিসর্জন দিয়েই ফিরে চললাম।
বিসর্জন
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া শহরের ব্যাঁটরা থানা এলাকায় পীযূষ কান্তি সরকারের জন্ম ১৩৬৮ সালের ১৩ই বৈশাখ ( ২৭ এপ্রিল ১৯৬১ )। হাওড়ার কদমতলায় সাতপুরুষের ভিটে। বাবা রতন সরকার, মা বেবি সরকার-- উভয়েই প্রয়াত। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং -এ ডিপ্লোমা প্রাপ্ত সাহিত্যিক নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ঞ মিশনের আইটিআই-এর শিক্ষক। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পত্রিকায় তার লেখা কবিতা,গল্প, নিবন্ধ নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২টি কবিতার বই -- 'জীবনের জানলায়' ও 'আলোর কলম' প্রকাশিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন