বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলায় বার্থী ইউনিয়নের বার্থী গ্রামে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগে বরিশালের গৌরনদীতে তিন সন্তানের জননী সোনিয়া বেগমের (৩২) গালে প্রকাশ্যে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে দগ্ধ করার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার একমাত্র আসামি মিন্টু মাতুব্বর (৩৭)কে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গৌরনদী থানার পুলিশ আটক এবং দুপুরে দগ্ধ গৃহবধু সোনিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
ইউপি সদস্য আবদুল করিম লস্কর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা মিন্টু ও সোনিয়ার স্বজনদের নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ আপোষ মিমাংসা করতে বসেছিলাম। আমাদের সামনে বসে মিন্টু গরম লোহার খুন্তি দিয়ে তার স্ত্রীর গালে ছ্যাঁকা দেয়। তাৎক্ষনিক পাষন্ড স্বামী মিন্টুকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বার্থী গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী মিন্টু মাতুব্বরের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী সোনিয়া বেগমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে একই বাড়ির চাচাতো এক দেবরের বিরুদ্ধে।
এ খবর পেয়ে দুই মাস আগে সৌদি প্রবাসী মিন্টু দেশে ফিরে এসে স্ত্রীর কাছে বিদেশ থেকে পাঠানো ৭ লক্ষাধিক টাকা ফেরত চায়।
বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা ফেরত না দেয়া ও পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে স্বামী মিন্টু ও স্ত্রী সোনিয়ার মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি এবং প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হয়।
এ বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য বার্থীর ইউপির সদস্য করিম লস্কর, ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল, যুবলীগ কর্মী আল-মাদানী শিকদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বামী মিন্টুর বাড়িতে এক গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে বসে।
এ সময় স্ত্রী সোনিয়া স্বামীর সংসার করবে না ও স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যাবে বলে সালিশ বৈঠকে জানায়।
তখন স্বামী মিন্টু মাতুব্বর ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে ঢুকে গরম লোহার খুন্তি এনে সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ইউপি ২ সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে স্ত্রী সোনিয়ার গালে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেয়।