বরিশালে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করেনা বেড পঞ্চাশ ভাগ বৃদ্ধি

বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল প্রতিনিধি
3 মিনিটে পড়ুন

করোনা সংক্রমণের নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ায় বরিশাল বিভাগে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলোসন ওয়ার্ডের বেড সংখ্যা পঞ্চাশ ভাগ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

‘প্রতিদিনই নতুন করে করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভাগের একটি মাত্র ডেডিকেটেড হাসপাতাল হওয়ায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুশো শয্যার করোনা হাসপাতালকে তিনশো শয্যায় পরিণত হয়েছে’ বলে জানান বরিশাল জেলা প্রশাসক মো জসিমউদ্দিন।

বিভাগীয় কমিশনার জানান এটি বাস্তাবয়ন করার জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের প্রভাষকদের ডিউটি দিতে হবে। শুধুমাত্র বরিশালেই নয়, তাদের বরিশাল সদর, ঝালকাঠী ও পিরোজপুরে ডিউটি করতে হবে’ জানান বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বাদল।

IMG 20210706 151727 1 বরিশালে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করেনা বেড পঞ্চাশ ভাগ বৃদ্ধি
বরিশালে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করেনা বেড পঞ্চাশ ভাগ বৃদ্ধি 35

করোনা আইসোলেসন ওয়ার্ডের ইনচার্জ ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন জানান দুশো শয্যার করোনা ইউনিটের কাজ করতে আমরা হিমসিম খাচ্ছি বাড়তি আরো পঞ্চাশ ভাগ বেড কি ভাবে সামাল দেবো জানি না।

- বিজ্ঞাপন -

তিনি জানান এই হাসপাতালটি টারশিয়ারি লেবেল এর হাসপাতাল। উপজেলা ও জেলায় অধিকাংশ করোনা রোগীদের এখানে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

তিনি আরও জানান বিভাগে করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে চারশো উনষাট জন এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশী দুশো ছত্রিশ জন রয়েছে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর ফলে রোগীর চাপ দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিকে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে খোঁজ দিয়ে দেখা গেছে বিপুল সংখ্যক করোনা রোগী ও তাদের স্বজনরা ভীড় করছে হাসপাতালে। বাড়তি রোগীদের চাপ সামলানোর জন্য পঞ্চম তলায় আলাদা আরো একশো বেড রেডি রাখা হয়েছে। চলছে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানোর কাজ।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য, এর পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানায় বরিশাল বিভাগে ছয় জেলায় ছয়টি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য বেড রয়েছে পাঁচশো তেইশ তার মধ্যে আজ মঙ্গলার দুপুর পর্যন্ত রয়েছে রোগী রয়েছে চারশো উনষাট জন।

গত চব্বিশ ঘন্টায় আটশ চুয়াত্তর নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত চারশো উনষাট, পজিটিভ ৫২ . ৫২ ভাগ।

- বিজ্ঞাপন -

শের-ইবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে মোট রোগী দুশো ছত্রিশ জন।

এই হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৮৮টি নমুনার মধ্যে ১৩৯টি পজেটিভ। আক্রান্তে হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

হাসপাতাল পরিচালক ডা. এচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, এই হাসপাতালে বেড বাড়লেও ডাক্তার, চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী রয়েছে প্রয়োজনের অর্ধেক। এটি দিয়ে কোন ভাবেই বাড়তি বেড এর জন্য সেবা দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। তিনি জনবল ও অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধা ও বাজেট বৃদ্ধির দাবি জানান।

- বিজ্ঞাপন -

তিনি জানান পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সদর হাসপাতালকে পঞ্চাশ বেডের করোনা ইউনিট গড়ে তোলার দাবী জানাই।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!