বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলায় হত্যা মামলার এক নারী আসামীকে রিমান্ডে যৌন ও শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগে সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল এসপি) ও উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), পরিদর্শক (তদন্ত) সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (০৫ জুলাই) দিবাগত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোমিন উদ্দিন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, সদ্য প্রত্যাহার হওয়া উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান ও পরিদর্শক (তদšত) মাইনুল ইসলাম সহ উজিরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এবং অজ্ঞাত তিনজন।
মমিন উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশে কারাগারে আটক হত্যা মামলার ওই নারী আসামী জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইনে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধ দায়ের করা মামলায় বাদী হয়েছেন।
এদিকে সোমবার সকালে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান জানিয়েছিলেন, নারী আসামীকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদšত) মাইনুল ইসলাম ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে ওসি জিয়াউল আহসানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি গঠিত তদšত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জামবাড়ি এলাকা থেকে বাসুদেব চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতরে ভাই বরুন চক্রবর্তী ওইদিনই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামী করা হয় এক নারীকে। দায়ের হওয়া মামলার আসামী হিসেবে ওইদিন সেই নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর পুলিশের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজিরপুর আমলী আদালত নারী আসামীর ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ২ জুলাই ওই নারীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাকে খুড়িয়ে হাটতে দেখে এর কারন জানতে চান আদালত। ওই নারী আদালতের কাছে তাকে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন পুলিশের বিরুদ্ধে।
এর প্রেক্ষিতে আদালত অভিযোগকারিনীর মেডিকেল পরীক্ষার এবং পুলিশকে এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। মেডিকেল পরীক্ষায় অভিযোগকারিনীর দেহে মারধরের প্রমান পাওয়া গেছে।