নাটোরের বড়াইগ্রামে আলম হোসেন নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হাটের সরকারী জায়গা দখল করে বিভিন্ন লোকের কাছে অর্থের বিনিময়ে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার নগর ইউনিয়নের বাঘাইট বাজারের এই ঘটনা চলমান রয়েছে।
আলম হোসেন নগর ইউনিয়ন পরিষদরে সদস্য ও বাঘাট গ্রামের মৃত আবুল প্রামানিকের ছেলে। এই জমি দখল ও বরাদ্দ দেওয়ার কাজে তার সহযোগি হিসেবে কাজ করছেন আব্দুল আজিজের ছেলে আলম মোল্লা ও কুন্ডুপাড়ার ফজলু মিয়া।
স্থানীয় আজিমুদ্দিন জানান, বাঘাট বাজার ভিতরে ৩৫ শতাংশ সরকারী জায়গা রয়েছে। সেই সরকারী জায়গা আলম মেম্বার ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছেন। প্রচার করছেন যে বাজারের টয়লেট নির্মাণের জন্য এই টাকা নেয়ার ক্ষেত্রে ভূমি অফিসের অনুমতি রয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি বাজারের দেড় শতাধিক দোকান থেকে টয়লেট নির্মাণের নামে ৩’শ থেকে ১ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেছেন। ওই টাকায় সামান্য কিছু কাজ করে তা অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে।
যদি টাকার প্রয়োজন হয় দোকান মালিকরা আরও দিবে কিন্তু সরকারী জায়গা বরাদ্দ দিয়ে টয়লেট করতে হবে কেন এমন প্রশ্ন তার। আজিমুদ্দিন আরো জানান, কিছুদিন আগে ভূমি অফিসের লোকজন ব্রীজ করার জন্য বাঘাট বাজার থেকে জাগরণী বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয় বাজার অভিমুখ সংলগ্ন রাস্তার সিমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
আব্দুল আজিজের ছেলে আলম মোল্লা সেই সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে মোটা অংকের জামানত হাতিয়ে নিয়ে দোকান ভাড়া দিয়েছেন। এসব ঘর নির্মাণের কারনে বাজারের পানি নদীতে নামার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বাজারে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
একটু বৃষ্টি হলেই দোকানের পানি প্রবেশ করে মালামালের ক্ষতি হচ্ছে। আর তার সকল কাজের নেপথ্যে সহযোগিতা করছেন ওয়ার্ড সদস্য আলম হোসেন। বাজার সংলগ্ন বড়াল নদীর উপরের লোহা ব্রীজের পূর্ব পাশে লিয়াকত হোসেন নামের লোককে হোটেল করে দিয়েছেন আলম।
যার ফলে সেখানেও পানি নিস্কাশন পথ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ঘর বরাদ্দ নেওয়া শামসুদ্দিন বলেন, আমি ৬ হাজার টাকা দিয়ে আলম মেম্বারের নিকট থেকে যায়গা বরাদ্দ নিয়েছি। এখন আলম মেম্বারের সহযোগী আলম মোল্লা তার দেখ ভাল করছেন।
নিজাম উদ্দিন বলেন, আমি আলম মেম্বারকে ৬ হাজার টাকা দিয়েছি। ঘর তৈরি করার কাজ শেষের পথে। স্থানীয় বাসিন্দা রিফাত জানান, বাজারে প্রায় ২০টির মত দোকান আলম মেম্বার টাকার বিনীময়ে বরাদ্দ দিয়েছেন।
আলম মোল্লা ও ফজলু মিয়া বলেন, ইউএনও, এসিল্যান্ড ও তহশিলদার সব ম্যানেজ করা আছে। যারা বারাবাড়ি করছে তাদেরকে দেখে নেয়া হবে বলেও হুমকির সুরে কথা বলেন তারা।
আলম মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘর বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, দোকানদারদের নিকট থেকে কিছু টাকা নিয়ে টয়লেট করা হচ্ছে। বাজারের টাকায় বাজারের উন্নয়ন করা হচ্ছে এতে দোষের কিছু নাই। যারা বাজারের উন্নয়ন চায়না তারা সাংবাদিক ডেকে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।