পটুয়াখালীতে করোনা সংক্রমেনর হার ক্রমশ: বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৪৩ জনের করেনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ৭ জন, কলাপাড়ায় ১২ জন, গলাচিপায় ০২ জন, মির্জাগঞ্জে ০৭ জন, বাউফলে ০৫ জন, দুমকীতে ০১ জন ও দশমিনা ০৯ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৫৮ জন মারা গেছে।
এদিকে গত তিনদিনে কলাপাড়ায় ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় আক্রাšত হয়েছে ৩৩ জন। আক্রান্তের হার ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে পটুয়াখালী জেলার সর্বত্রই।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রশাসনের টহল গাড়ি চললেও পরিস্থিতির উন্নতি নেই। প্রশাসন চলে গেলেই হুমড়ি খেয়ে ঘর থেকে রাস্তায় বের হয়ে যাচ্ছে মানুষ।
কলাপাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী রোববার ১৪ জনের পরীক্ষায় ১৩ জন, শনিবার ছয় জনের পরীক্ষায় ছয় জন এবং শুক্রবার ১৪ জনের পরীক্ষায় ১৪ জনই করোনায় আক্রাšত হয়েছেন।
উপজেলায় এ পর্যšত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৭৪ জন। সুস্থ হয়েছে ৩৫৮ জন। আর মারা গেছে ১০জন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে পাঁচজন।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার বলেন, সোমবার কলাপাড়া হাসপাতালের পাঁচ বেডের করোনা ইউনিটে তিনজন রোগী ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট না থাকলেও বর্তমানে চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট রয়েছে বলে জানান।
এদিকে লকডাউনের গত চারদিনে কলাপাড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে অšতত দেড়শ’ জনকে জরিমানা করলেও সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল গাড়ি চলে গেলেই আবার স্বাভাবিকভাবে হাটা চলা করছে মানুষ, দোকান খুলে বসছে ব্যবসায়ীরা।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।