সত্তর বছরের বৃদ্ধা বিধবা মরিয়ম বেগম পেটের দায়ে কঠোর লকডাউনেও ঘর থেকে বের হয়ে বাধ্য হয়ে ইটভাঙ্গার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বয়সের ভারে লকডাউনের মধ্যে ইট ভাঙ্গার কাজ করে দৈনিক যে ২০/৩০ টাকা রোজগার হয় তা দিয়ে কোনভাবে দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন।
ওই বৃদ্ধার সাথে কথা বলার একটি ছবিও এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় তার এমন কষ্টের জীবনের কথা জানতে পেরে গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বৃদ্ধার পাশে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তাকে দিয়েছেন কিছু আর্থিক সহায়তা। পাশাপাশি অসহায় এই বৃদ্ধার পাশে সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসারও আহবান জানিয়েছেন তিনি ।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান,লকডাউন কার্যকরে তার থানা এলাকায় নিয়মিতো কাজের তদারকিতে বের হন তিনি। এসময় গৌরনদী উপজেলার বার্থী এলাকার প্রধান সড়কের পাশে মরিয়ম নামে ওই বৃদ্ধাকে ইট ভাঙ্গতে দেখেন।
তখন তার কাছে এগিয়ে যান এবং লকডাউনের মাঝেও ঘর থেকে বের হয়ে ইট ভাঙ্গার কাজটি করার কারণ জানতে চান। এসময় ওই বৃদ্ধা জানান, তিনি উপজেলার বাউর গাতি গ্রামের মৃত হালান সরদারের বিধবা স্ত্রী। বিয়ে হয়ে যাওয়ায় মেয়ে তার শশুরবাড়িতে থাকছেন বিধায় বাড়িতে তিনি একাই থাকেন।
তার ভরণপোষন দেয়ার মতো কেউ না থাকায় নিজেকেই কাজ করে উপার্জন করে খেতে হয়। এজন্য ইটভাঙ্গার কাজটি করছেন। আর এ কাজ করে দিনে যে ২০-৩০ টাকা উপার্জন হয়,তা দিয়ে কোনভাবে জীবনধারণ করছেন।
ওসি আফজাল বলেন, ওই বৃদ্ধার কথাগুলো শোনার পর খুব খারাপ লাগায় তাকে মাস্কসহ নিজের বেতনের টাকা হতে কিছু টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে দান করি। এ দিয়ে হয়তো ৮-১০ দিন কাটবে তার। কিন্তু বাকি দিনগুলো একটু ভালোভাবে কাটাতে নিয়মিত পর্যাপ্ত সাহায্যের প্রয়োজন ওই বৃদ্ধার।