বরিশাল মহানগরীতে লকডাউনের চতুর্থদিনে সড়কে আগের চেয়ে জনচলাচল বেড়েছে। তবে নগরীর বিভিন্ন সড়কে বিভিন্ন স্থানে চেক পোষ্ট বসিয়ে পুলিশ সদস্যদের জন ও যানবাহন চলাচল চেক করতে দেখা গেছে।
এদিকে শনিবার হতে নগরীর সব হোটেল রেস্তরা বন্ধ করে দেয়ায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বজনরা খাদ্য সংকটে কষ্ট ও দুর্ভোগে পড়েছেন।
রোগীর স্বজনদের অনেকেই হোটেলে খেতে না পেরে রুটি, কলা খেয়ে থাকছেন। তারা রোগীর স্বজনদের জন্য সীমিত আকারে হলেও হাসপাতাল ক্যাম্পাস এলাকায় হোটেল খোলা রাখার দাবী করেছেন।
নগরীর গুরুত্পূর্ণ সড়কগুলিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতার কারনে সীমিত সংখ্যক যান ও লোক চলাচল করতে দেখা গেলেও বিভিন্ন গলিতে দোকান পাট খোলা রাখার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
জেলা প্রশাসন নগরীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আলী সুজা, মারুফ দস্তগীর ও লাকী দাস, নগরীর বাংলাবাজার, বটতলা রুপাতলি, বান্দ রোড, সদর রোড সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পৃথক তিনটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ছাব্বিশ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে বিকেল পর্যন্ত ষোলো হাজার আটশ টাকা আদায় করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আলী সুজা জানিয়েছে বিনা প্রয়োজনে সড়কে অনর্থক ঘোরাফেরা করা, মাস্ক পরিধান না করা সহ বিভিন্ন কারনে তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটান পুলিশ সূত্র জানিয়েছে রবিবার (৪ জুলাই) নগরীর প্রবেশদ্বার দক্ষিনে কালিজিরা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় জিরো পয়েন্ট চেকপোস্টে এবং উত্তরে রামপট্টি চেকপোস্ট সহ সদর রোড, বাংলা বাজার, আমতলার মোড়, নথুল্লাবাদ, রুপাতলী সহ ৪০টির বেশি চেকপোস্টে কঠোর ভাবে পুলিশি নজরদারী থাকায় আন্তঃজেলা ও আভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
এ সময় ডিবি পুলিশের এক সদস্য মোটরসাইকেল নিয়ে বের হলে তার কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তার মোটর সাইকেলটি আটক করা হয়। এছাড়াও অকারনে কেউ বের হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
লকডাউন বাস্তবায়নে বিএমপি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে চেকপোস্ট গুলোর কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকি করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ( ট্রাফিক) জাকির হোসেন মজুমদার।
উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আরো বলেন, এ সময়ে চিকিৎসাসেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন, কর্মী এবং সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্যান্য জরুরী পরিষেবা লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকে।