বরিশালে ঢিলেঢালা ভাবে লকডাউন চলছে। বরিশাল মহানগর শহরে নতুন দেয়া লকডাউন ও শাটডাউন শতভাগ বাস্তবায়ন করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। তবে দুপুরের পর হতে মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায়।
সকালের দিকে রাস্তা-ঘাট কিছুটা ফাকা দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরের বিভিন্ন সড়কে অযথা ঘোড়াঘুড়ি,আড্ডা দেয়ার কাজেই ব্যস্ত ছিলেন অনেকেই।
অপরদিকে দুইদিন অগেও প্রশাসন থেকে যেভাবে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল মহানগরীয় সড়ক পথ ও এলাকায় সেরকম কার্যকর করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সেরকম দায়িত্ব পালনে দেখা যায়নি।
প্রায় শহরের ভিতর মোটর বাইকের চলাচল করেছে বাধাহীনভাবে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন, কিন্ত তারা মোটর বাইকের গতিরোধ করেননি। তবে রিক্সা চলাচল খুবই কম ছিল।
এদিকে সকালের দিকে নগরীর পোট রোডের মৎস্য আড়তে ছিল আজ ভীড়। সেখানে করোনা প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি।
এদিকে সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের নেতৃত্বে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিন নগর পরিদর্শন করেন।
এসময় নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদররোডে একাধিক গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা গত তিনদিন যাবত মাক্স বিতরন সহ প্রচার-প্রচারনা চালিয়েছি।
আজ থেকে কোন মাক্স বিতরন নয়। এখন থেকে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনকালে জেল-জরিমানা করা হবে এখানে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় লকডাউন ও শাটডাউন বাস্তবায়নে নগরীতে আতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বিশ জন ম্যাজিষ্টেট দায়িত্ব পালন করছেন।
একই সময়ে বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মকতারাও তাদের কাজ করে যাবেন। তিনি আরো বলেন মাঠে সেনা বাহিনী ও বিজিবি টিমও কাজ করবেন।
এব্যাপারে কোতয়ালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, নগরীর রুপাতলী বাসস্টান্ড, চৌমাথা, কালিজিরা, বাংলা বাজার সহ নগরীর অন্তত জনবহুল এলাকায় আমাদের দশটি পুলিশের মোবাইল টিম সহ আটটি চেক পোষ্ট বসিয়ে তারা কাজ করছেন।
তিনি আরো বলেন সামনের বাকি দিনগুলি আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্য কমিশনার স্যারের নির্দেশ মোতাবেক আরো কঠোর ভূমিকা পালন করবে।