বরিশাল বিভাগে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। সেইসাথে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় এক দিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন বৃহস্পতিবার।
সর্বশেষ বিগত ২৪ ঘন্টায় গোটা বরিশাল বিভাগে নতুন করে ২৮৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এর আগের দিন ২৪ ঘন্টায় মোট আক্রাšেতর সংখ্যা ছিলো ২০৮। আর সর্বোশেষ আক্রান্তের এ সংখ্যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রা্নতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ হাজার ৮৮৬ জন।
এছাড়া এ সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের এবং বরিশাল জেলায় ১, পটুয়াখালীত জেলায় ১ ও পিরোজপুর জেলায় ৪ জনসহ বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে গোটা বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩১১ জনে গিয়ে দাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস ।
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসি আর সূত্র জানায় এখানে একশ উনআশি জনের মধ্রে উনআশি জনের। করোনা পজিটিভ এর একচল্লিশ ভাগের উপর।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক আরো জানান, গতকাল মৃতের সংখ্যা ছিলো ৯ জন। মোট আক্রান্ত ১৭ হাজার ৮৮৬ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫ জন।
আক্রাšত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় সর্বোচ্চ ।নতুন শনাক্ত ৮৫ জন নিয়ে মোট ৭ হাজার ৮৭৮ জন,
গত মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যšত সংক্রমণ অনেকটা স্থিতিশীল থাকলেও ১৬ জুনের পর তা বাড়তে থাকে। বিশেষ করে বরিশাল, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি—এই তিন জেলায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে।তবে শনাক্ত ও মৃত্যুর হাড়ে বর্তমানে সবার শীর্ষে রয়েছে বরিশাল জেলা।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ‘এ বিভাগে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রতিদিনই অবনতি হচ্ছে। পিরোজপুরে ডেলটা ধরণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা ছিল। এ নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানাগেছে, গত ২৪ ঘন্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০৭ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৫৩৩ জনের মধ্যে ৩৭ জনের কোভিড টেষ্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানিয়েছেন, বিগত ২৪ ঘন্টায় (বৃহষ্পতিবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৫ জন ভর্তি হয়েছেন। উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে ভর্তি ছয়জন মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি জানান করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ১৪৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। যাদের মধ্যে ২৪ জনের করোনা পজেটিভ এবং ১২৪ জন আইসোলেশনে রয়েছে। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৯ জন করোনা পরীক্ষা করান। যারমধ্যে ৪১.৭৯ শতাংশ পজেটিভ শনাক্তের হার।