ফরিদপুরের কাইচাইল ইউনিয়নের সুতারকান্দা দারুস সালাম ইসলামিয়া মাদ্রাসা শিক্ষকের নির্যাতনে দুই শিক্ষার্থী আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর শিক্ষক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের সুতারকান্দা দারুস সালাম ইসলামিয়া মাদ্রাসায়।
আহতরা হল- উপজেলার জিয়াকুলী গ্রামের বাদল মোল্যার ছেলে নিজাম (৯) ও জলফত জমাদ্দারের ছেলে আশিক (১০) এবং উভয়েই ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মাদ্রাসায় ফজরের নামাজের পর শিক্ষার্থীদের নিয়ে তালিম চলাকালীন সময়ে হেফজ বিভাগের ছাত্র নিজাম ও আশিক বসে বসে ঘুমচ্ছিল। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ রকিবুল ইসলাম ওই দুই ছাত্রকে দাঁড় করিয়ে রাখে। এরপরে একে অপরের মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে দুইজনের মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। পরে পার্শ্ববর্তী পোড়াদিয়া বাজারে গ্রাম্য চিকিৎসকের নিকট এনে দুজনের মাথায় সেলাই দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষক হাফেজ রকিবুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
আহত ছাত্র নিজামের বাবা বাদল মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে হেফজ বিভাগে পড়ে। ছেলে ফজরের নামাজ পড়ে মাদ্রাসায় বসে তালিম শুনছিলেন। আশিক নামে আরেকটি ছেলে দুজনে ঘুমের ঝিম পাড়ছিল। তাতেই হুজুর দুজনের একে অপরের মাথায় টক্কর মারে। দুজনের মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। আমার ছেলের মাথায় চারটি সেলাই করা হয়েছে।
মাদ্রাসার মোহতামিম আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘটনার সময়ে আমি মাদ্রাসায় ছিলাম না। একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা। শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার কমিটির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী পরু বলেন, দুই শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।