এভাবেও ভাল থাকা যায় (১৩তম পর্ব)

মণিজিঞ্জির সান্যাল
মণিজিঞ্জির সান্যাল
3 মিনিটে পড়ুন
ছবি প্রতীকী

আনন্দের মধ্যেও একটা ভয় ভয় ভাব

শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি যে পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন যাদের মধ্যে আনন্দ থাকলেও, সেই আনন্দের মধ্যে কেমন একটা ভীতি কাজ করে। এ ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি উপভোগ্য মূহূর্তগুলোকে ভয় পান। তারা আনন্দ পেতে যেমন ভয় পান, তেমনি প্রকাশ করতেও ভয় পান। এ ধরণের মানুষরা সমাজের সবার থেকে আলাদা থাকতে পছন্দ করেন। তাই তাঁদের স্বাভাবিক সামাজিক জীবন-যাত্রা ব্যাহত হয়। জীবনকে সুস্থ, সুন্দর এবং স্বাভাবিক রাখতে হলে নিজের মধ্যে তৈরি হওয়া ভুল অভ্যাস এবং তৈরি হওয়া ভয়-ভীতিকে খুব তাড়াতাড়ি সরিয়ে ফেলতে হবে। একার দ্বারা সম্ভব না হলে অবশ্যই কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছুতেই বাড়তে দেওয়া উচিত নয়। যদি নিজের চেষ্টায় করতে চান তাহলে আপনি এভাবে নিজেই চেষ্টা করে দেখুন। যেমন –

প্রথমত, আতঙ্ক বা ভয় দূর করার কিছু উপায় সম্পর্কে প্রথমেই আপনি নিজের কাছে নিজেই একটা প্রস্তুতি নিয়ে ফেলুন। সবার প্রথমে আপনি আপনার অনুভূতি গুছিয়ে রাখুন।
দ্বিতীয়ত, মনে মনে ভাবুন আপনার কোনো বড় সমস্যা বা অসুবিধা নেই৷
তৃতীয়ত, যে কোনো পরিস্থিতির জন্য আপনি নিজেকে তৈরি রাখুন৷ তাহলে অকারণে যেটুকু ভয় আপনার হচ্ছে সেটা আস্তে আস্তে চলে যাবে৷
চতুর্থত, মানসিক প্রস্তুতিই হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি৷
পঞ্চমত, জীবনে কিছু মানুষ অনেক প্রতিভা নিয়ে জন্মায়। শান্ত মাথায় নিজের কাছে নিজেই প্রশ্ন করুন বা প্রথমে একটা সিদ্ধান্তে আসুন আপনি ঠিক কি করতে চান।
ষষ্ঠত, আপনি কি খুব বেশী অস্থিরতায় ভোগেন? তাহলে আগে মনটাকে দিঘির মতো শান্ত করতে চেষ্টা করুন। তার জন্যে ধ্যান করুন অর্থাৎ মেডিটেশন।
সপ্তমত, শারীরিক অনুশীলনের পাশাপাশি প্রাণায়ম করুন কিছুদিন। ঘাম ঝরিয়ে শরীর চর্চা করুন।
অষ্টমত, এই জিনিসগুলো কিন্তু ছেলেখেলা নয় মনকে ঠিক রাখতে, শরীরকে ঠিক রাখতে ভীষণরকম সহায়তা করে।
নবমত, কে কি ভাবল এটা ভুলে যান। তাই বলে নিজে যত বড়ই হোন না কেন বাইরের মানুষের কাছে বেশি বড় বড় ভাব দেখাবেন না একদম ।
দশমত, কোনো মানুষের পক্ষেই সবকিছু পাওয়া সম্ভব নয়। কারো জীবনে কিছু কম বা বেশি কিছু আছে তাই নিয়েই জীবন। কারো কিছু কম আছে বা নেই, যা অন্যের জীবনে আছে। তাই বলে আমার জীবন শেষ হয়ে গেল এমনটা কিন্তু মোটেই নয়।
একাদশ, জীবনে বাঁচুন নিজের মতো করে, নিজস্ব ছন্দে। প্রতিযোগিতায় নাই বা গেলেন। আপনার চেয়ে খুব সাধারণ রেজাল্ট থাকা সত্বেও কেন সে অনেক উপরে উঠে গেল, এমনটা ভাববেন না একেবারেই।

এভাবে নিজের মনকে শান্ত করুন সবার আগে। ধীরে ধীরে নিজেকে পালটে ফেলুন। আপনার জীবন আপনার, অকারণে কেন ভয় পেয়ে জীবনটাকে নষ্ট করে ফেলবেন। জীবনকে ভালোবাসুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার সামান্য কোনো অবহেলা যেন জীবনের গতিকে থামিয়ে দিতে না পারে।

- বিজ্ঞাপন -

(চলবে)

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মণিজিঞ্জির সান্যাল, বাংলা সাহিত্যে এম.এ., ক্ল্যাসিক্যাল নৃত্য প্রভাকর; জন্মদিন: ২৯শে বৈশাখ, ইং ১৩ই মে; জন্মস্থান: ভারতবর্ষ, পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি। যে সব পত্র পত্রিকায় লিখেছেন: আনন্দবাজার, দেশ, সানন্দা, শুকতারা, কিশোর ভারতী, শিলাদিত্য, যুগ শঙ্খ, নন্দন, তথ্যকেন্দ্র, উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকা, উত্তরের সারাদিন, স্টেটসম্যান, অন্যদিন পত্রিকা (বাংলাদেশ), এছাড়া অসংখ্য লিটিল ম্যাগাজিনে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, ভ্রমণ কাহিনী প্রকাশিত হয়েছে। দেশের বাইরে কুয়েত, বাংলাদেশ, কানাডা, লন্ডন এমন অনেক বিদেশের পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত বই: (১) একটুকু ছোঁয়া লাগে (কলকাতা থেকে প্রকাশিত) (২) স্বপ্নের পৃথিবী (কলকাতা থেকে প্রকাশিত) (৩) অতৃপ্ত আত্মার সঙ্গে (৪) সমুদ্র তোমার সঙ্গে (বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত) (৫) সম্পর্কের পরিচর্যা (বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত) (৬) কমলালেবুর রস নোনতা (কলকাতা থেকে প্রকাশিত) (৭) ভালোবাসার গোপন দরজা (৮) মাটির কাছাকাছি
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!