খুলনার সাথে সীমান্তবর্তী জেলা পিরোজপুর ও ঝালকাঠীর সংক্রমণ বৃদ্ধ পাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে বরিশালের স্বাস্থ্য প্রশাসন।
ইতোমধ্যে প্রশাসনের সুপারিশ অনুসারে খুলনার সীমান্তবর্তী জেলা সহ সকল জেলার সড়ক, নৌ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসন। শুক্রবার বিকেলে এক জুম মিটিং এ এই আশংকা ব্যাক্ত করেছে বিভাগীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, আমরা মনে করি খুলনার সীমান্তবর্তী জেলা সমূহ থেকে আস্তে আস্তে ডেণ্টা ভ্যারিয়েন্ট বরিশাল বিভাগে ছরিয়ে পরছে। গত এক সপ্তাহ ধরেই এই জেলা সমূহে করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে বরিশাল বিভাগে সামগ্রিক ভাবে করোনা সংক্রমন ছরিয়ে পরার আশংকা করছি। ‘আমরা মনে করি সীমান্তবর্তী জেলা সমূহকে চেক দিতে না পারলে বরিশাল বিভাগেও খুলনার পরিস্থতি হতে পারে’
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে শনিবার মোট আক্রান্ত জন, এর মধ্যে পিরোজপুর ও ঝালকাঠী জেলায় ছাব্বিশ জন করে আক্রান্ত রয়েছে। গত শুক্রবার মোট আক্রান্ত একশো একুশ জনের মধ্যে পিরোজপুর ছব্বিশ, ঝালকাঠী আটাশ ও বরিশালে চল্লিশ জন। বৃহস্পতিবার একশো বাইশ জনের মধ্যে পিরোজপুর বায়ান্নো, ঝালকাঠীতে চব্বিশ ও বরিশালে ছত্রিশ জন। এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে দুশো আটানব্বই জন মারা গেছে, আক্রান্ত হয়েছে ষোলো হাজার আটশো আটষট্টি।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান বিভাগের একমাত্র কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল রয়েছে বরিশাল শের-ই কাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর ফলে সব কোভিড রোগীদেরই পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে এই মহানগরীতে এর ফলে ৬লক্ষ মানুষ অধ্যুষিত এই নগরী এখন প্রবল ঝুকির মধ্যে রয়েছে।
এদিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, আগের চেয়ে রোগীর চাপ অনেক বেশী সংক্রমনের হার তেত্রিশ ভাগ ছারিয়ে গেছে।
তিনি প্রস্তাব দেন যারা তারপরেও চলাচল করবে তাদেরকে আলাদা কোয়ারইনটেইন করতে হবে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বাদল জানান, পরিসিথিতি মোকাবেলায় কঠোর লকডাউনের কোন বিকল্প নেই। তিনি জানান এই মুহুর্ত থেকে খুলনার সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হল। কোন ভাবেই খুলনা থেকে মানুষ যাতে বরিশালের দিকে না আসে সেদিকে কঠোর নজরদরির জন্য তিনি নির্দেশ দেন।
এদিকে লকডাউন যাতে কঠোর ও সর্বাতন্ক হয় সে লক্ষ্যে কঠোর ব্যবস্থ নিতে যাচ্ছে বরিশালের বিভাগীয় প্রশাসন।