নাটোরের সিংড়ায় দুধের ন্যায্য দামে বিক্রি করতে না পেরে খামারীরা দুধ মাটিতে ঢেলে অভিনব প্রতিবাদ করেছে।
শুক্রবার ও শনিবার সকালে বাহাদুরপুর বটতলা এলাকায় প্রায় ৩০ জন খামারী দুধ ঢেলে বাড়িতে ফিরেন। খড় ও ভূষির দাম বেশি হলেও দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে ১৫/২০ টাকা দরে, এতে করে লোকসানে খামারীরা।
জানা যায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে প্রায় ৬০০টি গরুর খামার রয়েছে। স্থানীয় হাট ও বাজারে দুধ বিক্রি হয় খামারের এসব দুধ।
বাড়িতে পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মহাজনদের কাছে প্রতি দিন ৪০/৬০ লিটার একেকজন খামারী বিক্রি করতে আসেন। কিন্তু লকডাউনের কারনে বাজার মন্দা থাকায় মহাজন না আসলে দুধ নেয়ার মত ক্রেতা থাকে না এসব স্থানীয় বাজারে।
উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের খামারি মাহাতাব হোসেন জানান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে খামার করেছি। প্রতিদিন গাভীর খাবার ও পরিচর্যা বাবদ অনেক খরচ হয়, সেই সাথে ঋনের কিস্তি দিতে হয়। সঠিক দামে দুধ বিক্রি করতে না পারলে বিপদের সীমা থাকবে না আমার।
আরেক খামারি কান্দিপাড়া গ্রামের শাহিরুল ইসলাম জানান, খামার আর দুধ নিয়েই খামারিদের জীবন-জীবিকা চলে। দুধ বিক্রি করতে না পারলে পথে বসতে হবে আমাদের।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ডাঃ খুরশিদ আলম জানান, কলম, চামারী, হাতিয়ান্দহ এলাকায় বহু খামারী আছে। চামারী ও হাতিয়ান্দহতে বেসরকারি ভাবে প্রান ও আরং দুগ্ধ ক্রয় করে।
শুক্রবার কিংবা অন্যান্য ছুটির দিন দুধ ক্রয় বন্ধ থাকে। তিনি আরো বলেন, ইটালী, ডাহিয়া ইউনিয়নে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুধ শীতলীকরন অর্থাৎ ক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।