আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে স্বাস্থ্য সেক্টর ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন কর্তৃক পরিচালিত মানসিক ও মাদকাসক্তি বিষয়ক সেবা প্রদানকারী মনোযত্ন কেন্দ্রের সাথে ২২ জুন একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফযলে ইলাহির উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান এবং মনোযত্ন কেন্দ্রের পক্ষে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।
চুক্তি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজন অনুযায়ী মনোযত্ন কেন্দ্র মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভাইস-চ্যান্সেলর ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার ডঃ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ও ছাত্র-ছাত্রী কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডঃ শারমিন রেজা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফযলে ইলাহি বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিটি মানুষের জন্য অপরিহার্য। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের কাজের পরিধি অনেক দূর বিস্তৃত। তারা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সহায়তা করবে এতে আমরা আনন্দিত। আমরা আশা করি আমাদের এই উদ্যোগের দৃষ্টান্ত অন্যরাও গ্রহন করবে এবং তারাও মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে এগিয়ে আসবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় দেখেছি তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সেবা রয়েছে। আমাদের দেশেও এখন এ ই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা মানসিকভাবে সুস্থ ও সবল থাকলে তারা দেশ ও জাতীর উন্নয়নে ভালোভাবে কাজ করতে পারবে। আমি মনে করি আজকের এই উদ্যোগ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক উৎকর্ষ অর্জনে ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, আমরা জানি শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের চাহিদা মেটাতে বহুপক্ষীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মানসিক স্বাস্থ্যের চর্চাগুলি শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে অনেকগুলো সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, যেমন- মাদকের অপব্যবহার, মানসিক চাপ ও হতাশা ইত্যাদি। আমি মনে করে এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের দৈনন্দিন মানসিক চাপ মোকাবেলাসহ মানসিক প্রয়োজনগুলোর সম্পর্কিত ধারণাগুলো পাবে ও সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবে। কারণ শারীরিক প্রয়োজনের মত মানসিক চাপ কমানোর জন্য যে চিকিৎসা দরকার তা শিক্ষার্থীরা অনুধাবন করতে পারবেন এবং আজকের এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা তাদের পরিপূর্ণ সহায়তা প্রদানে সচেষ্ট থাকবো।