সমুদ্রে বড় আকারের চিংড়ি ধরতে গিয়ে গত শুক্রবার একটি হাম্পব্যাক তিমির কবলে পড়েন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল প্যাকার্ড।
হাঁ করে তাঁকে গিলে নেয় তিমিটি। কিন্তু একটা আস্ত মানুষ গিলতে না পেরে কয়েক মুহূর্ত পরেই মাইকেলকে উগরে দেয় সে। মৃত্যুর মুখ থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরে এসে ভাগ্যকেও বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি।
১১ জুন, ২০২১ শুক্রবার আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসের দ্বীপে এই ঘটনাটি ঘটেছে। পেশায় মৎস্যজীবী এবং ডুবুরি ৫৬ বছরের মাইকেল তাঁর এক সহযোগীকে নিয়ে সমুদ্রে গলদা চিংড়ি ধরতে গিয়েছিলেন।
গভীর জলে নেমে গলদা চিংড়ি ধরাটা তাঁর শুধু পেশা নয়, দীর্ঘদিনের নেশাও। আর সেটা করতে গিয়েই শুক্রবার জলের নীচে হঠাৎ একটা ঝাঁকুনি খান তিনি। আর তার পরেই তাঁর চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়।
বিয়ে করে আসার পর থেকেই অন্য যে কোনও একটি চাকরি করার জন্য তাঁর স্ত্রী তাঁকে বারবার অনুরোধ করা সত্বেও, তিনি সমুদ্রের নেশা ছাড়তে পারেননি। কেপ কডে প্রায় ৪০ বছর ধরে ডুবুরির কাজ করছিলেন। আর যখন ডুবুরির কাজ থাকত না, তিনি তখন মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে নেমে যেতেন।
মাইকেল যেখানে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন, সেখানে হাঙরের আনাগোনা রয়েছে। তাই হাঙরই তাঁকে মুখে পুরেছে বলে প্রথমে ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু পর ক্ষণেই বুঝতে পারেন হাঙর নয়। শরীরে তেমন কোনও যন্ত্রণাও অনুভব করেননি বলেও মিডিয়াকে জানিয়েছেন মাইকেল।
শুধু তাইই নয়, তিমির মুখের ভিতরে তিনি যে ৩০-৪০ সেকেন্ড ছিলেন, সে সময়েও তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস চলছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভয়ের কিছু নেই, মাইকেলের পায়ের গোড়ালি একটু মচকে যাওয়া ছাড়া তাঁর আর তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি।