হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব নাসির উদ্দিন মুনিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন মুনিরকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (২১ জুন) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হাটহাজারী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে নাসির উদ্দিন মুনিরের নাম উঠে এসেছে। গত মার্চে হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে নাসির উদ্দিন মুনিরের নাম রয়েছে। নাসির উদ্দিন মুনিরের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও হেফাজতের সাবেক আমির শাহ আহমদ শফী ‘হত্যা’ মামলার আসামি তিনি। এতদিন ধরে পলাতক ছিলেন তিনি।
গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করে হাটহাজারীতে বিক্ষোভ করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ সময় হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা নামে পরিচিত দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে মিছিল বের করে হাটহাজারী থানায় ভাঙচুর চালানো হয়। হাটহাজারীতে সংঘর্ষের চার দিন পর ৩০ মার্চ রাতে হাটহাজারী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে চারটি ও ভূমি অফিসে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুটিসহ মোট ছয়টি মামলা করে।
এর পাশাপাশি হেফাজতের নেতাকর্মীরা হাটহাজারী উপজেলা ভূমি ও সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। দিনভর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়। এ ঘটনার জের ধরে হাটহাজারীতে আবারও ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজত নেতাকর্মীরা। তারা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে। পাশাপাশি মাদ্রাসার সামনে ইটের দেয়াল তুলে ব্যারিকেডও দেয়। এসব মামলায় কারো নাম উল্লেখ না করে কয়েক হাজার অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে নাসির উদ্দিন মুনিরের নাম রয়েছে। এ ছাড়া হেফাজতের সাবেক আমির আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পিবিআইর তদন্তেও তার নাম রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৭ ডিসেম্বর হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির শাহ আহমদ শফীকে ‘মানসিক নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে’ হত্যার অভিযোগ এনে মামুনুলসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা আদালতে মামলা করেছে তার পরিবার।