নাটোরের বড়াইগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত সিরাজুল ইসলামের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল ও তার সম্মানী ভাতা বন্ধ করা কেন অবৈধ ও আইন বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারী করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চের বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান ১৪ জুন এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শহিদুল ইসলাম সোহেল ও তানজিলা ফেরদৌস।
আইনজীবী শহিদুল ইসলাম সোহেল জানান, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের গত ৫ জানুয়ারীর এক পরিপত্রে বড়াইগ্রামের বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের সনদ বাতিল ও তার সম্মানী ভাতা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।
এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের পক্ষ থেকে তার মেয়ে উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার একাধিকবার নির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও পৌর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শরীফুন্নেছা শিরিন এই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
এতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, উপ সচিব, সহকারী সচিবসহ ১১জনকে রিটের বিবাদী করা হয়েছে। ওই রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়ে এই রুল জারি করেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস জানান, ‘যথাযথ যাচাই-বাছাই না হওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের সনদ বাতিল হলো। এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়’।
পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কে এম জাকির হোসেন জানান, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের পরিবার একটি আদর্শ আওয়ামীলীগের পরিবার। তিনি মারা যাওয়ার পর রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তার সনদ বাতিল করায় আমি বিস্মিত’।