রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সুমাইয়া খাতুন (১১) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার রাতে গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের ললিতনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু সুমাইয়া ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সুমাইয়া বাড়িতে টিভি দেখে। এর পর একাই ঘুমাতে যায়। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে তার বাবা-মা মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তারা বাড়ির পাশের একটি খড়ের পালার নিচে সুমাইয়ার লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে কাঁকনহাট পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এর পর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, লাশের যৌনাঙ্গে রক্ত দেখা গেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, রাতের যে কোনো এক সময় শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এর পর লাশ খড়ের পালার নিচে লুকয়ে রাখা হয়েছিল।
এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এ নিয়ে গোদাগাড়ী থানায় হত্যা মামলা করা হবে।