বরিশালের নদীবেষ্টিত মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আগামী ২১ জুনের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হওয়া মোকছেদ আলম মীরের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা মার্কার প্রার্থীর সমর্থকরা।
আনারস মার্কার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোকছেদ আলম মীর অভিযোগ করেন বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে মৃধারহাট সড়কের ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে গেলে চরপৈক্ষা গ্রামের করিম বেপারীর ছেলে বশির আহম্মেদের নেতৃত্বে ৩/৪টি মোটরসাইকেলে করে সন্ত্রাসীরা এসে আমার প্রাইভেটকারে হামলা চালায়।
তারা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলে। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে সরাসরি থানায় গিয়ে তিনি ওসিকে সব কিছু দেখিয়েছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, হমলাকারী বশির বেপারী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জসিম বেপারীর ছোট ভাই। মূলত জসিমের নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়েছে।
মোকছেদ আলম মীর আরও অভিযোগ করেন, এর আগে তার বসতবাড়িতেও হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর ভাইয়ের নেতৃত্বে তার ভাড়াটিয়া লোকজনে।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় অভিযুক্তরা নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যেতে তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। এরই ধারাবাহিকতায় তার গাড়ির ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে বলেও মোকছেদ আলম দাবী করেন।
এ ব্যাপারে তিনি কঠোর আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদšত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো। তবে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোকসেদ আলম মীর থানায় এসেছিলেন। তিনি মৌখিকভাবে গাড়িতে হামলার অভিযোগ করেছেন। আমরা প্রাথমিকভাবে অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।
এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী জসিম উদ্দীন বলেন, আমি আজ প্রচারণার জন্য ঘর থেকেই বের হইনি। তবে আমি শুনেছি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোকসেদ আলম মীরের গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। আমি জেনেছি, লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মালেক সিকদার বহিরাগত লোক এনে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সেই বহিরাগতরা মোকসেদ মীরের গাড়িতে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মালেক সিকদার জানান, আমি আজ মুলাদীর বাইরে ছিলাম। ফলে হামলার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এর আগে আমাকে মারধর করেছে। আমার বাড়িতে হামলা করেছে। সেই হামলার ঘটনায় থানায়ও অভিযোগ দেওয়া আছে। মূলত নির্বাচন চলে আসায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ভোট দখলে নিতে চাইছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২১ জুন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের উৎপাতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।