বাগেরহাটের রামপালে রাস্তার উপর রেল ব্রিজ তৈরি করায় যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প রাস্তার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।
শুক্রবার বিকাল ৪ টায় উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বেলাই ব্রিজ এলাকায় এ বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন তারা। এসময় শতশত নারী-পুরুষ একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে বিকল্প রাস্তার দাবীতে শ্লোগান দিতে থাকেন তারা। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ প্রায় এক বছরখানেক আগে রাস্তার উপর ব্রিজ নির্মাণ করলেও সেখানে বিকল্প রাস্তা করে না দেয়ায় চরম ভোগান্তিতে উপড়েছেন ওই এলাকার মানুষ। খুলনা – মোংলা রেল লাইনের কাজ চলছে এ এলাকার উপর দিয়ে।
আন্দোলনকারীরা জানান, ওই এলাকায় প্রায় ৭শ লোকের বসবাস। তাদের চলাচলের একমাত্র ইটের রাস্তাটির উপর রেল ব্রিজ করা হয়েছে। বিকল্প রাস্তা তৈরি করে না দেয়ায় তারা এখন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়েই তাদের যাতায়াত, মালামাল আনা নেয়া বন্ধ হয়ে গেছ এখন। জরুরিভাবেও কোনো রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াও অসম্ভব ওই রাস্তা দিয়ে। কিছুদিন আগে রেলের ওই ব্রিজের পাশ দিয়ে নামতে গিয়ে তিন চারজন বৃদ্ধ পড়ে গিয়ে তারা এখন শয্যাসাই। এলাকাবাসী মৌখিক তাদের বিকল্প রাস্তার কথা বললেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কোনো কর্ণপাত না করায় গত ১৬ জুন গণসাক্ষরকৃত বিকল্প রাস্তার দাবীতে রেলওয়ের খুলনার প্রধান প্রকৌশলী বরাবর একটি লিখিত আবদনও করেছেন এলাকাবাসী। আবেদন সাড়া না পেয়ে ১৮ জুন শুক্রবার তারা ওই এলাকায় রাস্তার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন তারা। এতে অংশ নেন, জয়ান্ত কুমার ঢালী, দেবব্রত মন্ডল, সন্তোষ মল্লিক, সোরভ গোলদার, তাপস দাস, শিউলি শিকদার, শিপ্রা রায়, নার্গিস মুর্শিদা, ফারজানা, রাবেয়া, অঞ্জলি, সন্ধ্যা, শিলা, কাকলী, নিলা, শিখা, সুধা, অভিক, সৈকত, সুজন, বাপন, শংকর ,সবুজ, অজয়, অরিন্দম, চিন্ময়, শাহিন, মনোজিৎ, কনিকা, সুইটি, শংকর, অনুপ, গৌতম, নারায়ন, মল্লিকাসহ আরো অনেকে।
এবিষয়ে হুড়কা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার বলেন, আমিও চাই রাস্তাটি হোক। গ্রামবাসীর আবেদনে আমিও সুপারিশ করে দিয়েছি। এছাড়া তাদের সাথে কথাও বলেছি, তারা রাস্তাটি করে দেয়ার কথা বলেছেন।
রেলওয়ের খুলনার সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল হক বলেন, রাস্তার ব্যাপারে এতোদিন গ্রামবাসী আমাদেরকে কিছুই বলেনি। গত ১৬ জুন আমার কাছে একটি আবেদন দিয়েছে। ওই আবেদনটি আমরা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দিয়েছি এবং আলাপও করেছি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শীঘ্রই রাস্তাটি করে দিবে বলে আমাকে জানিয়েছে।