নাটোর সদর, বড়াইগ্রাম, গুরুদাশপুরসহ, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক পান চাষ হয়। একবার পানের বরজ তৈরি করলে, কয়েক বছর পানের ফলন হয়। নাটোরের আবহাওয়া পান চাষের উপযোগী হওয়ায়, দীর্ঘদিন থেকে এর আবাদ অব্যাহত রেখেছেন চাষীরা।
ফলে, অত্র অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পান চাষ। জেলায় পানের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে, মোকাম ও আড়ৎ।নাটোরের উৎপাদিত পান জেলা ও দেশের চাহিদা পূরণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।
তবে ইউরোপে পান রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশা আর লোকসানে দিন কাটাচ্ছিল পান চাষীরা।নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে, সাড়ে ছয় বছর পর, ইউরোপের বাজারে নতুন কোরে পান রপ্তানি শুরু করেছে বাংলাদেশ। এ খবরে খুশি নাটোর জেলার পান চাষীরা।
সদর উপজেলার গোকুল নগর গ্রামের পানচাষী হজরত আলী বলেন, নাটোরের পান খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু এবং গুনগত মান ভালো। চলতি বছর পানের ফলনও ভালো হয়েছে।
একই এলাকার পানচাষী রুবেল আলী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে পান চাষের সাথে যুক্ত। এবছর আমার চার বিঘা জমিতে পান চাষ করেছি। বিদেশে পান নিলে খুশি হবো।
আরেক চাষী হাফিজুর রহমান বলেন, এর আগেও ইউরোপে পান যেত আমাদের মোকাম থেকে। নতুন করে আবার পান রপ্তানি হলে আমরা চাষীর লাভবান হব।
মোকরামপুর পান আড়ৎ এর ব্যবসায়ী কমল মন্ডল জানান, ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে নাটোরের পান। ইউরোপে পান প্রবেশ করলে পান খুব কদরে বিক্রি হবে, এতে ব্যবসায়ী ও চাষী উভয়ে লাভবান হব। আমরা জেলার পান চাষী ও ব্যবসায়ীরা খুশি।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার জানান, বিদেশে রপ্তানি যোগ্য পান সম্প্রসারণ এবং গুনগত মান ঠিক রেখে উৎপাদনে কৃষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
কৃষিবিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর নাটোরে বরজ আছে ৪শ ২৯ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৬ হাজার ৬শ ৩২ মেট্রিকটন পান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ২শ কোটি টাকার বেশি।