বরিশালে দুই শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা পরিচালক গ্রেফতার

বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল প্রতিনিধি
2 মিনিটে পড়ুন
ছবি: সাময়িকী

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে দেড় বছর ধরে দুই শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা পরিচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতে অভিযান চালিয়ে রেদওয়ানুল করিম (৪২) নামের অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় বুধবার (১৬ জুন) বিকেল তিনটায় বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।

তিনি জানান, ঘটনা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তার হাতে কতজন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

- বিজ্ঞাপন -

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন জানিয়েছেন, বলাৎকারের অভিযোগ এনে এক শিশুর বাবা মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ করেন। মামলা নং ১২। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত মাদরাসার পরিচালককে গ্রেফতার করা হয়।

রেদওয়ানুল করিম পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাদ্রিশিবপুর কানকি গ্রামের মদিনাতুল উলুম কারিমিয়া মাদরাসার পরিচালক। তিনি ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

জানা গেছে, মদিনাতুল উলুম কারিমিয়া মাদরাসার হেফজখানায় প্রায় অর্ধশত শিশু পবিত্র কোরআন শিক্ষা করে থাকে। এখানে থাকা দুজন শিশুকে বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করে আসছিলেন রেদওয়ানুল করিম।

ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিষয়টি জানতে চাই। তখন ছেলে ঘটনা খুলে বলে। বিষয়টি নিয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা আমাকে হুমকি দেয়।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলেকে এখন বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।

- বিজ্ঞাপন -

আরেক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে হেফজখানায় দিয়েছি দেড় বছর হয়েছে। এত দিন ধরেই নাকি অপকর্ম করে আসছিল রেদোয়ান করিম। তবে শুক্রবার (১১ জুন) রাতেও একই কাজ করে সে। এতে একটি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপরই মূলত আমরা জানতে পারি। এই অভিভাবক বলেন, আমি বলাৎকারকারী মাদ্রাসা পরিচালকের ফাঁসি চাই।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!