রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় জায়গীরহাট এলাকায় ফখরুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার একটি গোপন কক্ষে সুড়ঙ্গ পাওয়ার গেছে। ঐ মাদ্রাসার একটি কক্ষ থেকে সোনালী ব্যাংক বরাবর সেই সুড়ঙ্গের মুখ যুক্ত হয়েছে।
স্থানীয় ছেলেরা ফুটবল খেলতে গিয়ে সুড়ঙ্গটি আবিষ্কার করেন। তাই ব্যাংক ডাকাতির ভয়াবহ পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়েছে। তবে কে বা কারা এই সুড়ঙ্গ খুড়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায় নি।
মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সোনালী ব্যাংক জায়গীরহাট শাখার ব্যবস্থাপক সামিউল হাসান।
তিনি জানান, জায়গীরহাট শাখায় একতলা ভবনে অবস্থিত ব্যাংকটির পাশে রয়েছে ফখরুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা। গত সোমবার (১৪ জুন) রাত ৮টার দিকে ওই মাদ্রাসার একটি কক্ষে সুড়ঙ্গ দেখতে পান এলাকার লোকজন। বিষয়টি জানার পর বর্তমানে ব্যাংকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই ব্যাংকের লাগোয়া জায়গীরহাট ফখরুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা ভবন। করোনা মহামারীর কারণে সেটি দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় কিশোররা ওই মাদ্রাসার মাঠে ফুটবল খেলছিল। একপর্যায়ে ফুটবলটি মাদ্রাসা কক্ষের ভেতরে গেলে সেখানে ফুটবল খুঁজতে গিয়ে এক কিশোর সুড়ঙ্গটি দেখতে পায়। পরে সে তার বাবাকে বিষয়টি জানায়।
ওই কিশোরের বাবা সন্ধ্যায় বাজারে এসে লোকজনকে ঘটনাটি খুলে বলেন। এরপর স্থানীয়রা সেটি দেখতে যান। খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ফখরুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার সভাপতি এনামুল হক বলেন, আমাদের মাদ্রাসা দেড় বছর ধরে বন্ধ। মূল গেটও বন্ধ থাকে। কিন্তু মাদ্রাসার পূর্বপাশে একটি রুম আছে, সেখানে কাঠসহ কিছু জিনিসপত্র আছে। ওই রুমেই এই সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে। আমার ধারণা, এটি যারা করেছে তারা হয়তো ব্যাংক ডাকাতির উদ্দেশ্যেই করেছে।
মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন, দুর্বৃত্তরা সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল। এটা খুঁড়ে ব্যাংক পর্যন্ত যেতে পারলে হয়তো একটা বড় ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটত। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা নস্যাৎ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।