পটুয়াখালীর দুমকিতে মেয়ে জামাইয়ের ধারালো দায়ের উপর্যুপরি আঘাতে গুরুতর জখম শ্বাশুড়ী মোমেনা বেগম (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রোববার সকালে বরিশাল শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালীর দুমকি থানার ওসি।
নিহত মোমেনা বেগম ওই এলাকার কাঞ্চন গাজীর স্ত্রী।
রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে পাশের গ্রাম থেকে ঘাতক জামাই জামালকে আটক করে ঘটনাস্থলে নিয়ে এসে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা দা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দুমকি থানার ওসি মেহেদী হাসান।
পুলিশ জানায় এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্র্ডের উত্তর মুরাদিয়া গ্রামে শ^াশুরীকে কোপানোর এ ঘটনা ঘটে।
মুমূর্ষ অবস্থায় শ্বাশুড়ীকে প্রথমে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে তাকে বরিশাল শে.বা.চি.ম হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার কচুয়া এলাকার জামাল হোসেনের সাথে ১০ বছর আগে উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের কাঞ্চন গাজীর মেয়ে শিল্পী বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জামাল স্ত্রী নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে থেকে দিন মজুরের কাজ করতো। তাদের তিনটি সšতান রয়েছে।
কয়েকদিন ধরে জামাল অসংলগ্ন আচরন করে আসছিলো। শনিবার রাত সাড়ে ১২ টায় পারিবারিক কলহের জের ধরে জামাল হোসেন শ্বাশুড়ি মোমেলা বেগমকে দা দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে উপুর্যপরি কুপিয়ে জখম করে। এতে গুরুতর জখম হলে রাত দুইটায় মোমেলাকে দুমকি উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দুমকি থানার ওসি মেহেদী হাসান আরো জানান, সকালে বরিশাল শে.বা.চি.ম হাসপাতালে মোমেনার মৃত্যু হয়। সেখানে ময়না তদšত শেষে মরদেহ গ্রামে নিয়ে আসা হবে।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুপুরে পাশের গ্রাম থেকে ঘাতক জামালকে আটক করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকান্ডে ব্যবহ্্রত রক্তমাখা ধারালো দা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।