নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাংচুরের ঘটনায় গুরুদাসপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিয়ার রহমান বাঁধনসহ ৬ জনের নাম ও অজ্ঞাত ১০ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.আরিফা আফরোজ বানু।
এ ঘটনায় শুক্রবার গভীর রাতে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে মামলার ৪ জন আসামী, হাসু, সান্না, জহুরুল ও ডাবলু সাহকে আটক করে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
উল্লেখ্য, নাটোরের গুরুদাসপুরে নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মো. আমিন (১২) মারা যায়। বৃহস্পতিবার (১০) জুন বিকেল আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলা পৌরসদরের চাঁচকৈড় গাড়িষাপাড়া গুমানী নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে। রুগীর লোকজন শিশুকে অক্সিজেন দিতে বলে। অক্সিজেন সিলিন্ডারে অক্সিজেন না থাকায় হাসপাতালে আসা উত্তেজিত জনতা হাসপাতাল ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের তৎপরতা চলছে।