পরিবারের পক্ষ থেকে কিশোর-কিশোরীর প্রেমের সর্ম্পক না মেনে নেয়ায় বরিশালের গৌরনদীতে সহপাঠীদের প্ররোচনায় রিয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনায় প্রেমিক উপজেলার পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামের হারুন বেপারীর ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী সাগর বেপারী (১৬), মেদাকুল গ্রারেম নুরমোহাম্মদ সরদারের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী সাজ্জাত সরদার (১৬), পূর্ব সমরসিংহ গ্রামের বিমল দত্তের কন্যা নবম শ্রেনীর ছাত্রী সমাপ্তি দত্ত (১৫) কে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় উপজেলার পশ্চিম সমরসিংহ গ্রামের নিহত স্কুল ছাত্রীর মা মুরশিদা বেগম (৩৫) বাদি হয়ে পেমিক সাগর বেপারীসহ তিন পহপাঠীকে আসামি করে বুধবার দিবাগত রাতে গৌরনদী থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলার এহাজারে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম সমরসিংহ গ্রামের আলী আকবর ফকিরের কন্যা মেদাকুল হাইস্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্রী রিয়া আক্তারের (১৫) সাঙ্গে একই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামের হারুন বেপারীর পুত্র সাগর বেপারীর (১৭) দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর রিয়ার পরিবারের সদস্যরা সাগরের বাবার কাছে বিষয়টি জানিয়ে বিচার দাবি করেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অবস্থাতেই প্রেমের সর্ম্পক মেনে নেয়া হবেনা জেনে রিয়া ও সাগর তাদের অপর সহপাঠী মেদাকুল গ্রামের সাজ্জাদ সরদার (১৭) ও পূর্ব সমরসিংহ গ্রামের সমাপ্তি দত্তের (১৫) সাথে আলোচনা করেন।
একপর্যায়ে সহপাঠীদের প্ররোচনায় প্রেমিকজুটি একসাথে বিষপান করে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ৮ জুন সকালে প্রাইভেট পড়তে এসে প্রেমিকজুটি স্কুলের পাশে বসে ওই সহপাঠীদের উপস্থিতিতে সাগরের আনা কীটনাশক (বিষ) আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
সে অনুসারে দুপুরে স্কুল ছাত্রী রিয়া প্রথমেই বোতলে থাকা সব বিষ একা পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
প্রেমিক সাগরসহ তাদের অপর দুই সহপাঠী মুমূষু অবস্থায় রিয়াকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে (রিয়া) মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এসময় সাগর ও তার অপর দুই সহযোগি রিয়ার লাশ রেখে পালানোর সময় স্থানীয়রা তাদের তিনজনকেই আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও্র গৌরনদী থানার এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার প্রধান আসামিী প্রেমিক সাগর বেপারীসহ গ্রেফতারকৃত ওই তিন আসামিকে বৃহস্পতিবার বরিশাল শিশু আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক তাদেরকে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।