রাজশাহী বিভাগের দুইটি জেলায় আম হিমাগার নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। আম হিমাগার নির্মাণ করা হবে বিভাগের সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদনের জেলা নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মেদপুর এবং রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরে। দুই হিমাগারে ৮ মেট্রিক টন আম সংরক্ষণ করা যাবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছেন, প্রতিবছর কৃষকের উৎপাদিত ৩০ শতাংশ আম নষ্ট হয়। সেই সঙ্গে সংরক্ষণের অভাবে প্রায় ১০ শতাংশ, এই মোট ৪০ শতাংশ আম প্রতিবছর অবহেলিত জনিত কারণে নষ্ট হয়।এই ৪০ শতাংশ আম সংরক্ষণের জন্য হিমাগার নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নাটোরের ফলা আড়তদার নিমাই সাহা জানান, মৌসুমী ফল আম সংরক্ষণ করার জন্য হিমাগার নির্মাণের দাবি ছিল আমাদের দীর্ঘদিনের। সরকার যেহেতু হিমাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। আগামী বছরেই যেন আম সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়, সেই দাবি জানায় সংশ্লিষ্টদের কাছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কে জে এম আবদুল আওয়াল জানান, রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলা এবং রাজশাহী জেলায় সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হয়। দুই জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশসহ বিদেশেও রপ্তানি হয় এই অঞ্চলের আম।
প্রতি বছর কয়েক হাজার মেট্রিক টন উৎপাদিত আম পঁচে নষ্ট হয়ে যায় তাই পরীক্ষামূলক সংরক্ষণের জন্য রাজশাহী বিভাগের দুই জেলায় হিমাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরহাট ও নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মেদপুর।একটি হিমাগারে ৪ মেট্রিক টন আম সংরক্ষণ করা হবে বলে জানালেন তিনি।
আম হিমাগার নির্মাণ হলে একদিকে যেমন পচন রোধ হবে, অপরদিকে লাভবান হবে কৃষকসহ ব্যবসায়ীরা, তাই আগামী বছরেই যাতে আম সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়, এমটাই দাবি জানায় আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা।