ফিল্মি স্টাইলে লঞ্চ থেকে নামিয়ে যাত্রীকে বেধড়ক মারধর

বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল প্রতিনিধি
2 মিনিটে পড়ুন
ছবি: সংগৃহীত

লঞ্চ থেকে ফিল্মি স্টাইলে এক যাত্রীকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া (কালীগঞ্জ) লঞ্চঘাটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার ওই যাত্রীর নাম রবিন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরের পর ইলিশা থেকে ছেড়ে আসা গ্রিনলাইন-২ লঞ্চটি উলানিয়ার লঞ্চ টার্মিনালে ভিড়ে। লঞ্চটি ঘাটে পৌঁছামাত্র ১০/১২ জন লঞ্চে উঠে এক যাত্রীকে মারতে মারতে নিচে নামিয়ে নিয়ে যায়। পরে পন্টুনে ফেলে ব্যাপক মারধর করে। মারধর শেষে গুরুতর আহত অবস্থায় তারাই আবার ওই যাত্রীকে গ্রিনলাইন লঞ্চে তুলে দেন। এ হামলার ভিডিও করেন লঞ্চে থাকা যাত্রীরা।

লঞ্চে থাকা ‍একজন যাত্রী আবদুল মালেক জানান, লঞ্চে ১০/১২ জনের একটি দল উঠে রবিন নামে ওই যুবকের ওপর হামলা চালায়। পরে তাকে টেনেহিচড়ে নিচে নামায়। সাহায্যের জন্য আকুতি করলেও হামলাকারীদের ভয়ে কেই এগিয়ে যাননি। তবে তিনি হামলার ঘটনা ভিডিও করেছেন। ভিডিও করার কারণে হামলাকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।

এদিকে হামলার পরে গ্রিনলাইন-২ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ওই যাত্রীকে লঞ্চ থেকে নামিয়ে দিতে চায়। তবে যাত্রীদের প্রতিবাদের কারণে তা সম্ভব হয়নি বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী।

- বিজ্ঞাপন -

হামলার শিকার রবিন জানান, তার চাচাতো ভাই তারেক মোল্লা উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। তার ভাইয়ের সঙ্গে শত্রুতার জেরেই এ হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, নীরব, উজ্জ্বল, জাকির ও বাহাউদ্দিনের নেতৃত্বে ১০/১২ তার ওপর হামলা চালায়। তিনি কালিগঞ্জে মাছের ব্যবসা করেন।

হামলাকারীরা কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হামলাকারীরা উলানিয়ার বাসিন্দা। তারা সবাই সাবেক চেয়ারম্যান জামাল মোল্লার লোকজন। বর্তমানে একটি হত্যা মামলায় সাবেক এই চেয়ারম্যান জেলে রয়েছেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
১ টি মন্তব্য

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!