গোটা ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাসের ছোবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কেউ। এই বৈশ্বিক মহামারীর কাছে পুরো দেশ আজ অসহায়। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় ক্রমশ বাড়ছে; শিশু থেকে বৃদ্ধ এ তালিকার বাইরে নয় কেউই। এই মহামারীরীতে ধ্বস নেমেছে অর্থনীতিতে। চাকুরি হারিয়ে বেকার বেকার হয়ে গেছে বহু মানুষ। অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ীতে ফিরে গেছে। অগণিত মানুষই জানে না, আগামীকাল কী করে চলবে তাদের! এরই মধ্যে আরেকটি রেড সিগন্যাল! পশ্চিমবঙ্গে ধেয়ে এসেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ঝড়ো বাতাস উড়িয়ে নিয়ে গেছে ঘরের চালা। বৃষ্টির জলের স্রোত উঠোন পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে ঘরের ভেতরে। কোথাও কোথাও আবার ঘরের মেঝেতে হাঁটু থেকে কোমর সমান জল। জলমগ্ন সেসব এলাকার মানুষ ভেজা এক কাপড়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে ছুটেছে আশ্রয়ের সন্ধানে।
ঠিক এমন পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন দুই কবি ভাই-বোন। একজন গবেষক ও কবি লিটন রাকিব এবং অন্যজন তার বোন কবি আরফিনা।
জানা গেছে, সমাজের অসহায় ও গরীব, নিরাশ্রয়, দুস্থ, রোজগারহীন মানুষদের পাশে এই তরুণ গবেষককে সর্বদাই পাওয়া যায়। বিগত দিনেও বহু সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে গবেষক লিটন রাকিবকে। সর্বহারা মানুষের কান্না, বেদনা তাকে ভারাক্রান্ত করে তোলে। মানুষকে ভালবেসে তিনি ছুটে গেছেন বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে, ক্লান্তিহীন ভাবে করে যাচ্ছেন সমাজ সেবা। সুন্দরবন থেকে সোনারপুরের মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন ত্রাণ সামগ্রী। অসংখ্য মানুষের আশীর্বাদের হাত রয়েছে তার মাথায় পরে।
গত বছরের লকডাউনের সময় টানা তিনমাস ধরে সহায় সম্বলহীন দুস্থ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন লিটন রাকিব ও তার বোন আরফিনা। এর পাশাপাশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষের সেবায় চালু করেছিলেন স্পেশাল হেল্প লাইন।
এ বছরেও লকডাউনের সময়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে সহায়সম্বলহীন মানুষের হাতে খাবার তুলে দিচ্ছেন তারা। এসব মানুষের খাদ্য তালিকায় রাখা হয়েছে খিচুরী, সবজি, ডিম ইত্যাদি।
‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ – এই মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে নিরন্তর নিরলস অসহায় মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন গবেষক লিটন রাকিব ও তার বোন আরফিনা।