বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীন সময়ে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। লকডাউনে কাজ হারিয়ে অনেক মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। রাষ্ট্র ও সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করলেও- তা মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই সামান্য। আবার কেউ কেউ এই যৎসামান্য ত্রাণ সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছে। ফলে চরম দারিদ্রতার কবলে পতিত হয়ে বহু মানুষ দুর্দশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের কষ্টের সীমা পরিসীমা নেই। এই হতদরিদ্রের মধ্যে একজন ভারতের ধাত্রী গ্রামের তারক বসাক। তার পরিবার এখনো পায়নি কোন ত্রাণ সহায়তা।
লকডাউনে কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ, তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষ সরকারি সাহায্য পেলেও এখনও কোনো সাহায্য পায়নি তারক বসাক এর পরিবার।
তারক বসাক পেশায় একজন তাঁত কারিগর। অর্থনৈতিক মন্দার বাজারে কাজ হারিয়ে হতভাগ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে তার নাম। যথাসময়ে বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বাড়ির মালিক। অগ্যতা তিনি পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের ৪ নং প্লাটফর্মের পিছনের এক জঙ্গলে। সেখানে তিনি তাঁবু খাঁটিয়ে প্রায় তিনমাস ধরে পরিবারসহ অমানবিক জীবন যাপন করছেন। তার সঙ্গে ওই তাঁবুতেই বাস করছেন স্ত্রী জাহান্নারা ও অবুঝ দুই সন্তান।
জীবন যুদ্ধে হারতে রাজি নন তারেক। জঙ্গলে থেকেই তিনি দিনমজুরীর কাজ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কোন কোন দিন কাজ পান; আবার কখনো জঙ্গলে কাঠ কেটে যা পারিশ্রমিক পান- তাই দিয়েই পরিবার নিয়ে অর্ধাহার-অনাহারে দিনানিপাত করছেন।
সুবিধা বঞ্চিত তারকেরাও স্বপ্ন দেখে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে পরে বেঁচে থাকার। এই সময়ে সরকারের পাশাপাশি দেশের বিত্তবান মানুষেরা এগিয়ে আসলে ক্ষুধামুক্ত হতে পারে হাজারও তারক। একদিন অন্ধকার দূর হয়ে যাবে, আলোর মুখ দেখবে পৃথিবী।