কানাডায় একটি পরিবারের চার সদস্যকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে চার জনের মধ্যে তিন জনই নারী। গতকাল রোববার স্থানীয় রবিবার দেশটির অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরে এ হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ইসলামবিদ্বেষ থেকেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরিবারটির সদস্যদের ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে।
হামলাকারী হিসেবে ২০ বছরের এক কানাডিয়ান তরুণকে শনাক্ত করা হয়েছে। নাথানিয়াল ভেল্টম্যান নামের ওই তরুণ অন্টারিও-র লন্ডন শহরের বাসিন্দা। বর্বরোচিত ও নৃশংস ঐ হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি মার্কেট থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। তবে সে কোনও ‘হেট গ্রুপের’ সদস্য কিনা সেটি এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা গেছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী, সে পরিবারটির সবাইকে খুন করতে চেয়েছিল। তবে সৌভাগ্যক্রমে ঐ পরিবারের একমাত্র সদস্য হিসেবে ৯ বছরের শিশুটি বেঁচে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত নাথানিয়াল ভেল্টম্যানের বিরুদ্ধে চার জনকে খুন এবং এক জনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট পল ওয়েট বলেছেন, ‘মুসলিম হওয়ার কারণে এসব মানুষের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে পুলিশ সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগও খতিয়ে দেখছে।’
এ ঘটনায় গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘অন্টারিও-র ঘটনায় আমি মর্মাহত। ঘৃণ্য এ ঘটনায় যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। হাসপাতালে থাকা শিশুটিরও পাশে আছি আমরা।’
অন্টারিওতে ঘৃণা ও ইসলাম বিদ্বেষের কোনও স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্টারিও প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ডগ ফোর্ড।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে কুইবেক শহরের মসজিদে ছয় জনকে হত্যার পর দেশটির মুসলিমদের ওপর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।