শরীরের প্রায় অর্ধেক পুড়ে যাওয়া এক নারীকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। কি ঘটেছে, বা কীভাবে পুড়েছে তা জানেনা মাহমুদা মৌ (৩২) নামের ঐ নারীর পরিবারের কেউ।
রোববার (৬ জুন) দিনগত রাত ১০টার দিকে তাকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
তবে দগ্ধ নারীর মা সালমা রহমান জানান, মৌ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। কিভাবে দগ্ধ হয়েছে জানা নেই।
ইনস্টিটিউটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা আনসার সদস্যদের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) আব্দুর রউফ ও ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, ওই নারীর শরীরের ৪৬ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছে।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার (এসআই) গোলাম হোসেনের জানান, মেয়েটি কোথায় দগ্ধ হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে দগ্ধ মেয়েটির ভর্তি নিয়ে একটি ভুল বুঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছিল। এখন তা সমাধান হয়েছে, দগ্ধ নারী এখন ভর্তি আছে।
এদিকে কাফরুল থানার টেলিফোন অপারেটর হুমায়ুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি তবে ঘটনাটি মিরপুর মডেল থানা এলাকায়। দগ্ধ মেয়েটির বাসা মিরপুর ৬ লেন ২, ব্লক এ। সেখানে তার স্বামী ইরফানের সঙ্গে বসবাস করেন। তবে পারিবারিক কোনো কারণে দগ্ধের ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি মিরপুর থানাকে অবগত করা হয়েছে।
এদিকে দগ্ধ নারীর মামা শাহাদাত নয়ন জানান, মৌ তার স্বামীর সঙ্গে ওই বাসায় থাকেন। তবে তার নিখোঁজের বিষয় নিয়ে আগে কাফরুল থানায় একটা জিডি করা হয়েছিল। পরে জানতে পারি সে ইরফানকে বিয়ে করেছে। রাতে আমরা সংবাদ পাই, মৌকে তার স্বামী দগ্ধ অবস্থায় ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। কি কারণে সে দগ্ধ হয়েছে বিস্তারিত এখনো কিছু জানতে পারেনি।